বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লিদের আগমনে নতুন রেকর্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: রবিবার ১২ই জানুয়ারী ২০২০ ১১:৪৮ পূর্বাহ্ন
বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লিদের আগমনে নতুন রেকর্ড

৯ জানুয়ারি বাদ মাগরিব তাবলিগের শীর্ষ মুরব্বি ভারতের মাওলানা ইবরাহিম দেওলার আম বয়ানের মাধ্যমে টঙ্গীর তুরাগ তীরে শুরু হয় তাবলিগ জামাতের ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমা। ২০২০ সালের প্রথম পর্বে আলমি শুরার সাথীদের এ বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লিদের আগমনে সর্বকালের নতুন রেকর্ড গড়েছে। অধিক সংখ্যক মুসল্লি উপস্থিত হওয়ায় ইতোমধ্যে আলমি শুরার সাথীদের ইজতেমা দু’পর্বে আয়োজনের দাবিও ওঠেছে।

বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগমন ধর্মপ্রাণ মুসলমানের কণ্ঠে একই সুর ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনি। আল্লাহর এ পবিত্র তাসবিহতে মুখরিত হচ্ছে টঙ্গীর তুরাগ ময়দানসহ আশপাশের ব্যাপক এলাকা। বয়ান, তাশকিল, তালিম, ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হয়েছে গত দুটি দিন। শনিবার রাত থেকে এখনও চলছে বিরামহীন টঙ্গীমুখী গণজোয়ার।

আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে টঙ্গীমুখী জনস্রোত অব্যাহত রয়েছে। আজ সকাল ১০-১১টায় আখেরি মোনাজাতের জন্য আগেই সময় নির্ধারিত করা আছে। বাংলাদেশের তাবলিগের প্রধান মারকাজ কাকরাইলের প্রবীণ মুরব্বি হাফেজ মাওলানা জুবাইর আহমদ আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন।

বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে কহর দরিয়াখ্যাত শিল্পনগরী টঙ্গীর তুরাগ তীর এবং বিমানবন্দর থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত লোকে লোকারণ্য। বিশ্ব ইজতেমার ইতিহাসে এবার রেকর্ড সংখ্যক মুসল্লি উপস্থিত হয়েছে। যা বিগত বছরের সব রেকর্ডকেই ভেঙে দিয়েছে। টঙ্গীর ময়দানসহ বিমানবন্দর থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত পুরো এলাকায় খোলা আকাশের নিছে মানুষ আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে অবস্থান করছে।

পুরো ইজতেমাকে ৯১টি খিত্তায় ভাগ করা হয়েছে। এরপরও জায়গা না পাওয়ায় ময়দানের বাইরে রাস্তায় অবস্থান করছেন মুসল্লিরা। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, আবদুল্লাহপুর-আশুলিয়া সড়ক, স্টেশনরোড-কামারপাড়া সড়কসহ ইজতেমার ময়দানে প্রবেশের রাস্তার দুই পাশে মুসল্লিরা অবস্থান নেয়ায় রাস্তাগুলো সঙ্কুচিত হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও যানবাহন এমনকি হাঁটার পথও বন্ধ হয়ে গেছে। উত্তরা ১০ নং সেক্টরের বিভিন্ন রাস্তায়ও তাবু ফেলেছেন মুসল্লিরা।

রোববার বাদ ফজর শুরু হয়েছে হেদায়েতি বয়ান। ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে এ হেদায়েতি বয়ান পেশ করছেন পাকিস্তান তাবলিগের শীর্ষ মুরব্বি মওলানা জিয়াউল হক। এরপরই ভারতের ইবরাহিম দেওলা সমাপনি বয়ান পেশ করবেন।তারপরই অনুষ্ঠিত হবে আখেরি মোনাজাত। পূর্ব নির্ধারিত সিডিউল অনুযায়ী বাংলাদেশের হাফেজ মাওলানা জুবাইর আহমদ আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন। বিশ্ব মুসলিমের শান্তি ও কল্যাণ কামনায় পরিচালনা করা হবে আখেরি মোনাজাত।

উল্লেখ্য যে, গত বছর ইজতেমাকে ঘিরে বিদ্যমান দুটি গ্রুপের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে দুই পর্বে ইজতেমা আয়োজন হয়। এবার আলমী শূরার সাথীদের ইজতেমা প্রথম পর্বে (১০, ১১ ও ১২ জানুয়ারি) হচ্ছে। আর ১৭, ১৮ ও ১৯ জানুয়ারি মাওলানা সা’দ কান্দলভির অনুসারিদের ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।

ইনিউজ ৭১/এম.আর