রাঙ্গাামাটির বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুরেশ কান্তি তঞ্চঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার ফারুয়া থেকে ফেরার পথে আলিক্ষ্যং এলাকায় তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া ও রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মুছা মাতব্বর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। মুছা মাতব্বর এই হামলার জন্য সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে শহরে বিক্ষোভ মিছিল হবে এবং কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে। বিলাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসিফ ইকবাল জানান, মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুরেশ কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। তার মরদেহ বর্তমানে উপজেলা সদরে আছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য রাঙ্গামাটি জেলা সদরে নেয়ার প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এই উপজেলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সমর্থিত প্রার্থী বীরোত্তম তঞ্চঙ্গ্যার কাছে পরাজিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়সেন তঞ্চঙ্গ্যা। জনসংহতি সমিতির জেলা সম্পাদক নীলোৎপল খীসা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা এই ধরণের রাজনীতির চর্চা করি না। এসব ঘটনার সঙ্গে আমাদেরকে জড়ানোর চেষ্টা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার হীন প্রচেষ্টা। উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় নির্বাচনী দায়িত্ব পালন শেষে ফেরার পথে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার নয়মাইল এলাকায় সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে প্রিসাইডিং অফিসার ও আনসার সদস্যসহ সাতজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ১৪ জন। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।