প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০১৯, ২:৩২
বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশ উপেক্ষা করে এসএসসি পরীক্ষাদের কাছ থেকে পুনরায় প্রবেশপত্র ও ব্যবহারিক পরীক্ষার নামে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে আগৈলঝাড়ার মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বিরুদ্ধে। এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্র ফি সহ সব টাকা পরিশোধ করা ও বোর্ডের নির্দেশ অমান্য করে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রবেশপত্র প্রদানের ক্ষেত্রে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা প্রদানে বাধ্য করা হচ্ছে অভিভাবকদের। বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আনোয়ারুল আজিম স্বাক্ষরিত তার ফোন নম্বরসহ ২৪ জানুয়ারি এক পত্রে প্রবেশপত্র বিতরণে পরীক্ষার্থীদের নিকট থেকে টাকা আদায় সংক্রান্ত সতর্কী করণ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন “ পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রবেশপত্র বিতরণে কোন টাকা আদায় করা যাবে না। এর ব্যত্যয় ঘটলে সংশ্লিষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধানগনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনেরও ঘোষণা দেন তিনি। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের নির্দেশ উপেক্ষ করে স্কুলগুলো প্রবেশপত্র বিতরণে আদায় করছেন ভিন্ন ভিন্ন অংকের টাকা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা সদরের স্কুল থেকে মফস্বলের স্কুল শিক্ষকেরা এসএসসির প্রবেশপত্র ও ব্যবহারিক পরীক্ষার নামে নামে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা করে প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে আদায় করে নিচ্ছেন। খবর নিয়ে জানা গেছে, সকল অভিভাবকের কাছ থেকে টাকা আদায় করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
শ্রীমতি মাতৃ মঙ্গল বালিকা বিদ্যালয়ের অভিভাবক সাংবাদিক আসাদুজ্জামান সবুজ তার মেয়ের জন্য প্রবেশপত্র নিতে ৩৫০টাকা প্রদান করেছেন। পয়সা মাধ্যমিক বিদ্যালয় এ্যান্ড কলেজে ৫০০টাকা, ভেগাই হালদার পাবলিক একাডমীতে ৩৫০টাকা, গৈলা সরকারী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩৫০টাকা, বাকাল নিরঞ্জন বৈরাগী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৪৫০টাকা, কাঠিরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৪০০টাকা, রাজিহার মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৪৫০টাকা, বাশাইল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৪০০টাকাসহ প্রতিটি স্কুলেই প্রবেশপত্র বিতরনের জন্য টাকা আদায় করা হয়েছে। বিদ্যালয়গুলোর অভিভাবরা জানান, পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্রর জন্য অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়ে দুদক কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বরিশাল অফিসে সম্প্রতি তলব করেছিলেন। ওইসময় কতিপয় শিক্ষার্থী প্রধানশিক্ষকদের শেখানো বুলি দুদক কর্মকর্তাদের কাছে পেশ করে জানিয়েছে, তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত কোন অর্থ নেয়া হয়নি। পরবর্তীতে দুদক কর্মকর্তাদের ঘুষ দেয়ার অজুহাতে ওইসব বিদ্যালয়ের ফান্ড থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন সংশ্লিষ্ট প্রধান শিক্ষকরা। উপজেলা পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দাস বলেন, স্কুলগুলোর বিরুদ্ধে অর্থ নেয়ার মৌখিক কথা শুনে তিনি মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নরুল ইসলাম ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি সুনীল কুমার বাড়ৈকে ফোনে সকল স্কুলের টাকা না নেয়ার জন্য বলেছেন। তার পরেও যদি কেই টাকা নেয় তবে তদন্ত সাপেক্ষ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাষ প্রদান করেন তিনি।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব