সুর্বনচরে গণধর্ষণের ঘটনাটি কষ্টের এবং লজ্জার: দীপু মনি

নিজস্ব প্রতিবেদক
সৌরভ নূর , বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শনিবার ৫ই জানুয়ারী ২০১৯ ০৬:১৬ অপরাহ্ন
সুর্বনচরে গণধর্ষণের ঘটনাটি কষ্টের এবং লজ্জার: দীপু মনি

নোয়াখালির সুর্বনচরে একজন নারীর উপর ঘটে যাওয়া নির্মম সহিংস ঘটনাটি অবশ্যই ভীষণ রকম কষ্টের এবং লজ্জার। নতুন বছরের শুরুতেই এমন একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা আমাদের কারো কাছে কাম্য নয়, বরং ক্রোধের। এবং এটাও লক্ষণীয় সরকার সাথে সাথে যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে। ৪ জানুয়ারি ডিবিসি টেলিভিশনের টকশো আয়োজনে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি একথা বলেন। তিনি আরও বলেন, নারী বা পুরুষ কেউই রাজনীতির উর্ধ্বে নয়। এই মানুষ ,সমাজ, সংস্কৃতি নিয়েই রাজনীতি পরিচালিত হয়। আর যে দেশের অর্ধেক জনসংখ্যা নারী সেখানে নারীর কোনো বিষয়ই রাজনীতির বাইরে হতে পারে না। আর নারীর যে অধিকার সেটিতো মানবাধিকার, তারপরেও নারীর ক্ষেত্রে কিছু অধিকার অবলীলায় লঙ্ঘিত হচ্ছে। অন্যায় ঘটতে পারে কিন্তু যতো দ্রুত সম্ভব প্রতিবাদ জানাতে হবে এবং পদক্ষেপ নিতে হবে। তবেই নারীর প্রতি সহিংসতার পরিমাণ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।

তবে ১৯৯৭ সালের আগে নারীর অবস্থা ও অবস্থান এবং ৯৭-এর পর থেকে নারীর অবস্থান বিপুল ভাবে পাল্টে গেছ। এরজন্য অবশ্যই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকা ও অবদান অসামান্য। ১৯৯৭ সালে তিনি যে নারী উন্নয়ন নীতিমালা তৈরি করেছিলেন  তার আওতায় সেবছরই স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দেশ ৩০ শতাংশ নির্বাচিত নারী পেলো, আমরা রাতারাতি ১২ হাজারের মতো নারীর রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ পেলাম। এর মাধ্যমে যেমন রাজনীতির প্রেক্ষাপটে একটা পরিবর্তন এসেছে, তেমনি সামাজিকভাবেও একটা পরিবর্তনের হাওয়া বইতে শুরু হলো। এরপর বিএনপি-জামায়াতের সময়ে মূল অধিকারগুলোকে মুছে দেয়া হয়, নারীকে আবার ঘরে বন্দি করে ফেলা হয়। পরবর্তী সময়ে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে খর্বিত অধিকার পুনঃউদ্ধার করেছে। গত দশ বছরে সকল সেক্টরে সব মন্ত্রণালয় যে যার অবস্থান থেকে নারীর কল্যাণে ও উন্নয়নে পরিকল্পনা গ্রহণ, বাজেট নির্ধারণ, প্রজেক্ট নিরপুণ ও বাস্তবায়ন করেছে সরকার। এখন সব জায়গাতেই নারীর সমান অংশগ্রহন। কোনো কাজেই আর পিছিয়ে নেই বাংলাদেশের নারীরা। 

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব