প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৫, ১১:২১
দেশজুড়ে ছাত্র ও জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ঐতিহাসিক ঘটনা চিহ্নিত করে অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষণা করেছে তিনটি নতুন দিবস। ৫ আগস্ট দিনটিকে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, যেদিন ছাত্র-জনতার বিপুল আন্দোলনের মুখে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা সরকারকে বিদায় নিতে হয়। দিনটি প্রতি বছর ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত জাতীয় দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
অন্যদিকে, সরকার পতনের পর নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের যাত্রা শুরুর দিন ৮ আগস্টকে ঘোষণা করা হয়েছে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে। এই দিনটি একটি প্রতীকী মাইলফলক, যেখানে দেশের জন্য একটি নতুন দিশা ও স্বচ্ছ শাসন ব্যবস্থার সূচনা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
গণআন্দোলনের সেই উত্তাল সময়ে রংপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত হন তরুণ ছাত্র আবু সাঈদ। তার স্মৃতিকে অমর করে রাখতে ১৬ জুলাই দিনটিকে ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সরকার মনে করে, এই দিবসগুলো শুধুই ক্যালেন্ডারে তারিখ নয়, বরং দেশের রাজনৈতিক বিবর্তন ও গণতান্ত্রিক লড়াইয়ের একেকটি অধ্যায়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ২৫ জুন জারি করা পরিপত্রে এ ঘোষণা জানানো হয়। সরকারের তথ্য বিবরণীতে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাকে এই দিবসগুলো যথাযথ মর্যাদায় পালনের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম গণতন্ত্রের জন্য করা আত্মত্যাগ ও আন্দোলনের ইতিহাস সম্পর্কে সচেতন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ঘোষিত পরিপত্র অনুযায়ী, ৫ আগস্টের ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ হবে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত এবং বাকি দুই দিবস ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত হিসেবে পালন করা হবে। এ শ্রেণিবিন্যাস অনুযায়ী দিবস পালনে সরকারিভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
এই নতুন ঘোষণাগুলোকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা দেশের ইতিহাসে একটি নতুন ধারা হিসেবে দেখছেন। বিশেষত ছাত্র আন্দোলন, জনতার প্রতিরোধ ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার অংশ হিসেবে এ দিবসগুলো ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মত তাদের।