প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৫, ১৭:১৬
আগামী ২ জুন সোমবার রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিএনপিকে আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ শনিবার (৩১ মে) দুপুরে কৃষকদলের এক আলোচনা সভায় এই তথ্য জানান। এই আমন্ত্রণকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে জল্পনা-কল্পনার সৃষ্টি হয়েছে।
সালাহউদ্দিন আহমদ তার বক্তব্যে বলেন, যারা দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন চায় না, তারাই বিএনপি নেতাদের দেশদ্রোহী বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে আন্দোলনের মাধ্যমে যে ত্যাগ বিএনপি করেছে, সেই ত্যাগের প্রতিদান এখন একটি মহল ভিন্নভাবে উপস্থাপন করছে। তিনি এই প্রক্রিয়াকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপচেষ্টা বলে মন্তব্য করেন।
তিনি অভিযোগ করেন, দেশে ফ্যাসিবাদের রাজনীতির মাধ্যমে একটি গোষ্ঠী জাতিকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছে। এই বিভেদ জাতীয় ঐক্যের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সালাহউদ্দিন মনে করেন, এই প্রেক্ষাপটে একটি আন্তরিক ও অর্থবহ আলোচনা দেশের প্রয়োজনে জরুরি।
বিএনপিকে আলোচনায় বসতে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানানো হলেও সালাহউদ্দিন আহমদ মনে করেন, কার্যত কোনো অগ্রগতি নেই। আলোচনার নামে শুধু আনুষ্ঠানিকতা দেখানো হচ্ছে কিন্তু সমস্যার সমাধানে বাস্তব পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। এতে জনগণের আস্থার ঘাটতি তৈরি হচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশে গাছে কলা ঝুলিয়ে সংস্কার দেখানোর চেষ্টা চলছে। এই সংস্কার কার্যত জনগণের সাথে প্রহসনের শামিল। সালাহউদ্দিন আহমদ জোর দিয়ে বলেন, ডিসেম্বরের আগেই একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে হবে, এটাই এখন জাতির সার্বিক দাবি। নির্বাচন নিয়ে দীর্ঘসূত্রতা জনগণের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করছে।
ডিসেম্বরের পর নির্বাচনের কোনো যৌক্তিকতা আছে কি না, সে বিষয়ে সরকারকে পরিষ্কার বক্তব্য দিতে হবে বলে সালাহউদ্দিন আহ্বান জানান। তিনি মনে করেন, অস্বচ্ছ অবস্থার মধ্যে দিয়ে জাতিকে চালিত করা হলে সংকট আরও ঘনীভূত হবে।
বিএনপির মতে, আলোচনার নামে সময় ক্ষেপণের রাজনীতি আর চলতে পারে না। এবার দরকার বাস্তব পদক্ষেপ এবং জনগণের দাবি পূরণের মাধ্যমে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করা। ২ জুনের আলোচনার আগেই এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্ক ও উদ্বেগ বাড়ছে।