প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৫, ১২:৩৭
রোহিঙ্গা সংকট ও চট্টগ্রাম বন্দর ইস্যুতে অন্তর্বর্তী সরকারের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশে তৈরি হয়েছে বিতর্কের ঝড়। বিশেষ করে রাখাইনে মানবিক করিডর প্রতিষ্ঠা ও বন্দর ব্যবস্থাপনা বিদেশিদের হাতে দেওয়ার প্রেক্ষাপটে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনার তীব্রতা বেড়েছে।
এই সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে তার নাগরিকত্ব। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, একজন বিদেশি কীভাবে জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হতে পারেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ শনিবার খুলনায় এক সমাবেশে সরাসরি তার নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং এই পদ থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান।
সালাহউদ্দিন আহমেদ অভিযোগ করেন, একজন বিদেশিকে নিরাপত্তা উপদেষ্টা নিয়োগ দিয়ে দেশের স্বার্থকে হুমকির মুখে ফেলা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, এই ধরনের সিদ্ধান্ত দেশের নিরাপত্তাকে অস্থিতিশীল করে তুলবে এবং এটি পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশকে সংঘাতের মুখে ঠেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র।
তবে এ ধরনের অভিযোগকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন ড. খলিলুর রহমান। এক গণমাধ্যমকে তিনি স্পষ্ট করে জানান, তিনি একজন বাংলাদেশি নাগরিক এবং নাগরিক হিসেবে তার সব অধিকার তিনি জানেন ও প্রয়োগ করতে প্রস্তুত।
তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, কোনো অভিযোগ তোলা হলে সেটি প্রমাণ করার দায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির। যদি প্রয়োজন হয়, তিনি এসব বিষয়ে আদালতের সামনে দাঁড়িয়ে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে প্রস্তুত বলেও জানান।
প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করা খলিলুর রহমান নিজের ওপর আস্থা রেখে বলেন, দেশকে অস্থির করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
সরকারি পর্যায় থেকে এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া না এলেও বিষয়টি ইতোমধ্যে রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে এমন স্পর্শকাতর বিতর্ক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আরও উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। তাই বিষয়টি দ্রুত ও স্বচ্ছভাবে নিষ্পত্তি করা জরুরি।