নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন, আচরণবিধি লঙ্ঘনে জরিমানার পরিমাণ বাড়ানোসহ ১২টির বেশি সংস্কার প্রস্তাব পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো এই প্রস্তাবগুলোকে বলা হচ্ছে ‘আশু বাস্তবায়নযোগ্য’।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে এই প্রস্তাবগুলো পাঠানো হয়। ইসি সচিব জানিয়েছেন, এসব প্রস্তাবের বেশিরভাগই রাজনৈতিকভাবে বিতর্কমুক্ত এবং বাস্তবায়নযোগ্য।
সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, “আমরা এমন প্রস্তাব দিয়েছি যেগুলোতে রাজনৈতিক বিতর্ক নেই এবং বাস্তবায়ন দ্রুত সম্ভব। ঐকমত্য ছাড়া যেগুলো করা সম্ভব নয়, সেগুলো বাদ দিয়েছি।”
তিনি জানান, প্রস্তাবগুলো তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এক ভাগ কমিশন নিজেই বাস্তবায়ন করবে, দ্বিতীয় ভাগ মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্তে বাস্তবায়নযোগ্য এবং তৃতীয় ভাগ রাজনৈতিক ঐকমত্য সাপেক্ষ।
প্রস্তাবগুলোতে যেমন রয়েছে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন, তেমনি রয়েছে নির্বাচন কর্মকর্তা নিয়োগে কঠোরতা, আচরণবিধি কার্যকর করতে আইন সংশোধন, অনিয়মে দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করা এবং নির্বাচন পরিচালনার সময়সীমা আরও নির্দিষ্ট করা।
ইসি মনে করে, এসব সংস্কার বাস্তবায়িত হলে নির্বাচনে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, ভোটার আস্থা অর্জন এবং সহিংসতা রোধে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এখন এই প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনা করে প্রয়োজনে আইনি বা প্রশাসনিক পরিবর্তনের উদ্যোগ নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।