অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস মেধাসম্পদ সংরক্ষণ এবং মেধার সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। শুক্রবার ‘বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে গণমাধ্যমে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, দেশের প্রতিভা ও সৃজনশীলতাকে আরও জাগ্রত করতে হলে সবার সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন।
ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশকে একটি সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে মেধাসম্পদ আইন ও নীতির সঠিক প্রয়োগ জরুরি। বিশ্ববাজারে টিকে থাকতে হলে শুধু পণ্য নয়, আমাদের সৃজনশীলতাও হতে হবে রপ্তানিযোগ্য। এজন্য শিল্প, সংগীত ও প্রযুক্তির সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী মেধাসম্পদ সংস্কৃতি গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।
বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘আইপি অ্যান্ড মিউজিক: ফিল দ্য বিট অব আইপি’ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সংগীত এমন একটি শক্তি যা হৃদয় ছুঁয়ে যায় এবং আমাদের সংস্কৃতি ও পরিচয়কে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরে। বাংলাদেশের সংগীতশিল্পীরা তাদের প্রতিভা ও সৃজনশীলতা দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রশংসিত হচ্ছেন।
তিনি উল্লেখ করেন, সংগীতশিল্পে উদ্ভাবন ও বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়লে এই খাত দেশের অর্থনীতির জন্য এক সম্ভাবনাময় উৎস হয়ে উঠতে পারে। এজন্য কপিরাইট, ট্রেডমার্কসহ অন্যান্য আইপি-সম্পর্কিত আইন ও নীতির যথাযথ প্রয়োগ জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
ড. ইউনূস বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ছাত্র, শ্রমিক ও জনতার আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়ন করে একটি বৈষম্যহীন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে অঙ্গীকারবদ্ধ। প্রতিটি খাতে মেধাসম্পদের প্রভাব নিশ্চিত করতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, ‘বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস’ উদযাপন উপলক্ষে যেসব কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে, তা সফল হবে এবং এ উদ্যোগ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করবে। একইসঙ্গে বাংলাদেশের উদ্ভাবনী শক্তিকে বৈশ্বিক পর্যায়ে তুলে ধরবে।
প্রসঙ্গত, প্রতিবছর ২৬ এপ্রিল বিশ্বব্যাপী পালিত হয় বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস, যা মেধা ও সৃজনশীলতার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে উদ্যাপিত হয়।