প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৫, ১৬:২২
সরকারি ভবনের ছাদগুলোকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উৎস হিসেবে ব্যবহারের লক্ষ্যে বড় পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে সরকার। এ উদ্দেশ্যে দেশের সকল সরকারি ভবনের ছাদে সৌর প্যানেল বসানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত 'জাতীয় রুফটপ সোলার কর্মসূচি' বিষয়ক বৈঠকে তিনি এই নির্দেশ দেন। বৈঠকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুনসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে জানানো হয়, ইন্টারন্যাশনাল রিনিউয়েবল এনার্জি এজেন্সি-আইরেনার ২০২৪ সালের প্রতিবেদন অনুসারে বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক পিছিয়ে। যেখানে ভারতে ২৪ শতাংশ, পাকিস্তানে ১৭.১৬ শতাংশ, শ্রীলঙ্কায় ৩৯.৭ শতাংশ বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে আসে, সেখানে বাংলাদেশে মাত্র ৫.৬ শতাংশ বিদ্যুৎ সৌরশক্তি থেকে উৎপাদিত হচ্ছে।
বর্তমান নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালায় বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার ২০ শতাংশ এবং ২০৪০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে সরবরাহ করতে হবে। কিন্তু চলমান টেন্ডার কার্যক্রমে থাকা ৫৫টি স্থলভিত্তিক সৌর প্রকল্প ২০২৮ সালের আগে বাস্তবায়িত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এই ধীরগতির বাস্তবতায় প্রধান উপদেষ্টা বিকল্প ও দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য কর্মসূচি হিসেবে সরকারি ছাদে রুফটপ সোলার প্রকল্পকে এগিয়ে নিতে নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, সরকারি ভবনের ছাদ বেসরকারি উদ্যোক্তাদের হাতে ছেড়ে দিলে তারা রক্ষণাবেক্ষণসহ উৎপাদন কার্যক্রম দক্ষতার সাথে পরিচালনা করবে। সরকার শুধু ছাদ দেবে, বাকি ব্যবস্থাপনা থাকবে উদ্যোক্তার হাতে। এতে সরকারের ব্যয়ও কমবে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনও নিশ্চিত হবে।
রুফটপ সোলার বাস্তবায়নের ফলে সরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও হাসপাতালগুলো আর বিদ্যুৎ বিল দিতে হবে না। বরং তারা ছাদ ভাড়া বাবদও আয় করতে পারবে।
বৈঠকে আরও বলা হয়, এর আগে যেসব সরকারি প্রতিষ্ঠান রুফটপ সোলার বাস্তবায়ন করেছে তাদের অভিজ্ঞতা বিশ্লেষণ করে সমস্যা চিহ্নিত করতে হবে এবং সমাধান নিশ্চিত করতে হবে।