সিঙ্গাপুরে অর্থপাচারের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে ৭ বছরের দণ্ড থেকে খালাস দিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বিভাগ এই রায় ঘোষণা করেন।
এ মামলায় তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের পক্ষে ছিলেন বর্ষীয়ান আইনজীবী এস এম শাহজাহান, ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম মুকুল এবং অ্যাডভোকেট আজমল হোসেন খোকন। অপরদিকে, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আসিফ হোসাইন।
২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর সিঙ্গাপুরে অর্থ পাচারের অভিযোগে একটি বিশেষ জজ আদালত তারেক রহমানকে খালাস দিয়েছিল। কিন্তু একই মামলায় গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। এই খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে দুদক হাইকোর্টে আপিল করেছিল এবং সেই আপিল শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০১৬ সালের ২১ জুলাই বিচারিক আদালতের খালাসের রায় বাতিল করে তারেক রহমানকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেয়। সেই সঙ্গে ২০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।
পরবর্তী সময়ে ২০১৯ সালের ১০ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের ৭ বছরের সাজা স্থগিত করে এবং তাদের বিরুদ্ধে আনা জরিমানা আদায়ও স্থগিত করে। এরপর ৬ মার্চ আপিল বিভাগ তাদের সাজা থেকে খালাস দেয়।
এ রায়ের ফলে তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুন তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অর্থপাচারের অভিযোগ থেকে মুক্তি পায়। তবে, এর আগে তাদের বিরুদ্ধে আনা নানা অভিযোগ এবং রাজনৈতিক বিতর্ক দেশজুড়ে আলোচিত ছিল। বিশেষ করে তারেক রহমানের রাজনৈতিক অবস্থান এবং অর্থপাচারের মামলার মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা চলছিল।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।