বিএনপির দুই গ্রুপের উত্তেজনায় মধ্যনগরে ১৪৪ ধারা

নিজস্ব প্রতিবেদক
জেলা প্রতিনিধি, সুনামগঞ্জ
প্রকাশিত: সোমবার ২৪শে ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১০:৫১ পূর্বাহ্ন
বিএনপির দুই গ্রুপের উত্তেজনায় মধ্যনগরে ১৪৪ ধারা

সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনার জেরে প্রশাসন শুক্রবার রাত ১২টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় মধ্যনগর থানার ওসি মো. সজীব রহমানের নেতৃত্বে অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানে যুবলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে মিজানুর রহমান মিজানকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগ উঠেছে, বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরে স্থানীয় ইউপি সদস্য সুজন ও বিএনপি নেতা আব্দুল কাইয়ুম মজনুর ইশারায় ঘুসের বিনিময়ে তাকে গ্রেফতার করানো হয়েছে।  


এ নিয়ে বিএনপির দুটি পক্ষ পরস্পরের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায় এবং দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায়। সুনামগঞ্জ জেলা যুবদলের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শহীদ মিয়া অভিযোগ করেন, থানার ওসি ও ইউপি সদস্য সুজনের যোগসাজশে মিজানকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার দাবি, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম মজনুর নির্দেশেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।  


অন্যদিকে আব্দুল কাইয়ুম মজনু দাবি করেন, গ্রেফতার মিজান যুবলীগ নেতা এবং তার গ্রেফতারের বিষয়টি ওসি ভালো বলতে পারবেন। তবে গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিএনপির আরেকটি পক্ষ বিক্ষোভ মিছিল করে এবং দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করে।  


ইউপি সদস্য সুজন বলেন, "আমি কিছু জানি না, থানার ওসি সব জানেন।" তবে থানার ওসি মো. সজীব রহমান জানান, ২০২৪ সালে বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়েরকৃত একটি মামলার তদন্তে মিজানের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও তিনি এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন না।  


তবে পরিবারের দাবি, মিজান যুবলীগের কেউ নন এবং তাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ফাঁসানো হয়েছে। ওসি সজীব রহমানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "সাবেক এমপি রনজিত সরকার মিজানের পক্ষে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন, যা প্রমাণ করে তিনি যুবলীগ নেতা।"  


পরিবারের দাবি, শুধুমাত্র ফেসবুক পোস্ট দেখে কাউকে যুবলীগ নেতা ধরে নিয়ে গ্রেফতার করা আইনসিদ্ধ কি না, এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি ওসি। বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যেও নানা প্রশ্ন উঠেছে।