রাজবাড়ীতে পদ্মা নদীতে সাঁতার কাটতে গিয়ে আসিফ মুস্তাহিদ (১৪) নামের এক স্কুলছাত্র নিখোঁজের ২৮ ঘন্টা পর তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার ( ৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পৌনে ৪ টার দিকে গোদারবাজার এলাকা থেকেই তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের গোদারবাজার ঘাট এলাকায় বন্ধুদের সাথে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হয় আসিফ।
নিখোঁজ আসিফ রাজবাড়ী পৌরসভার ধুঞ্চী এলাকার আবুল কালাম আজাদের ছেলে। সে রাজবাড়ী ইয়াছিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আসিফ ও তার তিন বন্ধু আকিবুল, রাফি ও সানি পদ্মা নদীর গোদারবাজার ঘাটে গোসল করতে নামে।তারা চারজন মিলে পদ্মা নদীর মাঝে জেগে ওঠা চরে সাঁতার কেটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।তারা সবাই সাঁতার কেটে চরে পৌঁছে যায়। দুপুর ১২টার দিকে তারা চর থেকে আবার সাঁতার কেটে ঘাটে ফেরার সময় আকিবুল, রাফি ও সানি তিনজন সাঁতার কেটে ঘাটে ফিরতে পারলেও আসিফ নদীর স্রোতে তলিয়ে যায়। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা প্রথমে জাল ফেলে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে দুপুর ২ টার দিকে ফরিদপুর থেকে পাঁচ সদস্যের একটি ডুবুরি দল এসে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে।ওই দিন বিকেল ৫ টা পর্যন্ত উদ্ধার কর্যক্রম চালিয়েছিলো ডুবুরি দল।অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় উদ্ধার বন্ধ করে তারা। গতকাল সাড়ে ১০ টা থেকে আবারও উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। এক পর্যায়ে বিকেল পৌনে ৪ টার দিকে তার মরদেহ ভেসে উঠলে ডুবুরি দল মরদেহ উদ্ধার করে।
আসিফের সঙ্গে থাকা বন্ধু সানি জানান, আমরা প্রথমে ঘাটেই গোসল করি। পরে সাঁতার কেটে নদীর মাঝে জেগে ওঠা চরে যাই। সেখান থেকে ফেরার সময় স্রোতে আসিফ তলিয়ে যায়।
আসিফের মামাতো ভাই ইয়াসির আরাফাত জানান,আমাদের বাড়ি পদ্মা নদীর কূল থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে। ফলে ওরা নিয়মিত পদ্মায় সাঁতার কাটে। আজকে সাঁতার কেটে কূল থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরের চরে যায়। ফেরার সময় আসিফ স্রোতে তলিয়ে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়।
ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের লিডার মো. ইনছার আলী জানান, বিকেল পৌনে ৪ টার দিকে নিখোঁজ শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পদ্মার চরে চোরা বালিতে তার পা আটকানো অবস্থায় পাওয়া গেছে। আজ তার মরদেহ কিছুটা ভেসে উঠলে আমাদের ডুবুরি দল তা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।