সারাদেশের ন্যায় ঝিনাইদহেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে হামলা চালিয়ে তা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সাধারণ জনতা। বুধবার সন্ধ্যা থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
ঝিনাইদহ শহরের শিল্পকলা একাডেমির সামনে স্থাপিত শেখ মুজিবের ম্যুরালটি সাবেক জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ নির্মাণ করেছিলেন। বুধবার রাতে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের ভাঙচুরের খবর পেয়ে ঐক্যবদ্ধ হয় এবং শহরের ম্যুরালটি ভাঙার চেষ্টা চালায়। একাধিকবার চেষ্টা করেও ম্যুরালটি ভাঙতে না পেরে অবশেষে সেটি উপড়ে ফেলে।
এদিকে, দেশের সবচেয়ে বড় মুজিব ম্যুরালটি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার সমশেরনগর গ্রামে অবস্থিত ছিল। ১২৩ ফুট উচ্চতার "স্ট্যাচু অফ ফ্রিডম" নামে পরিচিত মুজিব টাওয়ারের ম্যুরালে বৃহস্পতিবার রাতে হামলা চালিয়ে তা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শত শত ছাত্র-জনতা মিছিলসহ সমশেরনগর গ্রামে প্রবেশ করে এবং মুজিব টাওয়ারের ওপর হামলা চালিয়ে সেটি সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেয়।
কালীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন জানায়, আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদ শমসের সরকারি অর্থায়নে এই মুজিব টাওয়ার নির্মাণ করেছিলেন, যার বিরুদ্ধে বুড়ি ভৈরব নদ দখলের অভিযোগ ছিল। ম্যুরালটি ধ্বংস করার পর বিক্ষুব্ধ জনতা বারোবাজার মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানায়।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হোসাইন আহমেদ বলেন, "খুনি হাসিনার পরিবারের কোনো ম্যুরাল বা নামাঙ্কিত প্রতিষ্ঠান এ দেশে থাকবে না। বাংলার জমিনে ফ্যাসিবাদের কোনো চিহ্ন থাকবে না। কারণ হাসিনার হাতে ছাত্র হত্যার রক্ত লেগে আছে।" তিনি আরও জানান, জেলার যেকোনো স্থানে শেখ মুজিবের ম্যুরাল থাকলে তা ভেঙে ফেলা হবে।
এ ঘটনার পর থেকে ঝিনাইদহ জেলায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসন অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছে। তবে, এখনো কোনো পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।