সেনা সদস্য নাজমুল হুদার দাফন সম্পন্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক
আসলাম উদ্দিন আহম্মেদ, উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ৪ঠা ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১২:১৬ অপরাহ্ন
সেনা সদস্য নাজমুল হুদার দাফন সম্পন্ন

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার কাশারি ঘাট গ্রামে সামরিক মর্যাদায় সেনা সদস্য নাজমুল হুদার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। প্রশিক্ষণের সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করা নাজমুল হুদাকে শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ৭টায় স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়। তার জানাজায় সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সহকর্মী, আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসী অংশ নেন।  


গত ২ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহ সেনানিবাসে প্রশিক্ষণ চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন নাজমুল হুদা। দ্রুত তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার অকাল মৃত্যুতে পরিবার, সহকর্মী ও এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।  


নাজমুল হুদা কাশারি ঘাট গ্রামের নুর মোহাম্মদ মিয়ার কনিষ্ঠ সন্তান। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি এক সন্তানের জনক, যার বয়স মাত্র ১৮ মাস। পবিত্র কোরআনের হাফেজ হওয়ার পাশাপাশি তিনি সেনাবাহিনীতে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।  


সাম্প্রতিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে তার ব্যাচের ৪২০ জন সৈনিকের মধ্যে তিনি সেরা সৈনিকের মর্যাদা লাভ করেন। এই অর্জন তার কর্মদক্ষতা ও নিষ্ঠার প্রমাণ বহন করে।  


তার মৃত্যুতে শুধু পরিবার নয়, পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু ও প্রতিবেশীরা তার হঠাৎ চলে যাওয়াকে মেনে নিতে পারছেন না। জানাজায় অংশ নেওয়া অনেকে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।  


স্থানীয়রা বলেন, নাজমুল ছিলেন অত্যন্ত ভদ্র ও পরোপকারী। ছোটবেলা থেকেই তার পড়াশোনা ও শৃঙ্খলাবোধ ছিল প্রশংসনীয়। তার মৃত্যুতে এলাকার সবাই একজন প্রতিভাবান তরুণকে হারাল।  


সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা বলেন, একজন মেধাবী ও প্রতিশ্রুতিশীল সৈনিককে হারালাম আমরা। তার কাজের প্রতি দায়বদ্ধতা ও নিষ্ঠা প্রশংসার দাবিদার।  


সেনা সদস্য নাজমুল হুদার অকাল মৃত্যু তার পরিবারের পাশাপাশি দেশ ও বাহিনীর জন্যও অপূরণীয় ক্ষতি বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে।