ঝালকাঠিতে জেএমবির বোমা হামলায় দুই বিচারক হত্যার আজ ১৪ বছর

নিজস্ব প্রতিবেদক
এরফান হোছাইন. জেলা প্রতিনিধি (কক্সবাজার)
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ১৪ই নভেম্বর ২০১৯ ০৬:৩৭ অপরাহ্ন
ঝালকাঠিতে জেএমবির বোমা হামলায় দুই বিচারক হত্যার আজ ১৪ বছর

ঝালকাঠিতে আলোচিত জেএমবি বোমা হামলায় নিহত দুই বিচারক হত্যার ১৪ বছর আজ।  ঠিক ১৪ বছর পূর্বে ২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর এই দিন জেএমবির বোমা হামলায় ঝালকাঠির দুই বিচারক সোহেল আহম্মেদ এবং জগন্নাথ পাঁড়ে নিহত হন। সেদিনের সেই স্মৃতি মনে করে আজও জেলাবাসী আঁতকে ওঠেন।

প্রসংগত সেদিনের ঘটনার বর্ননায় জানাযায়,  সেদিন ছিলো রোববার ১৪ ই নভেম্বর সকাল ৯টা বাঁজতে তখনও ৫ মিনিট বাকি। ঠিক সেই সময় ঝালকাঠি জেলা শহরের পূর্বচাঁদকাঠি এলাকার সরকারি বাসভবন থেকে আদালতে যাওয়ার জন্য জজশীপের গাড়িতে অপর এক বিচারক এম আউয়ালের জন্য অপেক্ষমান ছিলেন ঝালকাঠি জেলা জজ আদালতের দুই সিনিয়র সহকারী জজ জগন্নাথ পাঁড়ে এবং সোহেল আহমেদ। অন্য গাড়ির ড্রাইভার সুলতান বিচারক আউয়ালকে গাড়িতে তোলার জন্য তার বাসায় ডাকতে যান।

আর এই সুযোগে সে সময় জেএমবির সুইসাইডাল ইফতেখার হাসান আল-মামুন গাড়িতে অপেক্ষামান দুই বিচারককে একটি চিরকুট পড়তে দিয়ে জেএমবি সদস্য মামুন বিচারকদের গাড়িতে শক্তিশালি বোমা নিক্ষেপ করে। 

মূহুর্তেই বিকট শব্দে কম্পিত হয়ে গাড়িটি চুর্ণবিচুর্ণ হয়ে যায়। আর দুই বিচারকের শরীরে বিভিন্ন অংশ দেহ থেকে উড়ে যায়। ঘটনা স্থলেই মারা যান বিচারক জগন্নাথ পাঁড়ে সেই সাথে জেএমবি সদস্য মামুনের মৃত্যু না হলেও ঘটনাস্থলে গুরুতর আহত হন। অপরদিকে চিকিৎসার জন্য বরিশাল নেয়ার পথে মারা যান বিচারক সোহেল আহমেদ।

বোমা নিক্ষেপকালে আহত হয়ে ধরা পড়ে হামলাকারী জেএমবির সুইসাইড স্কোয়ার্ডের সদস্য ইফতেখার হাসান আল মামুন। পরে এ ঘটনায় মামলা হলে ঝালকাঠির ততকালীন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রেজা তারিক আহমেদ শীর্ষ জঙ্গিনেতা শায়খ আব্দুর রহমান ও বাংলা ভাইসহ ৭ জঙ্গিকে ২০০৬ সালের ২৯ মে  ফাঁসির আদেশ দেন। উচ্চ আদালতে সে রায় বহালের পর দেশের বিভিন্ন জেলখানায় ২০০৭ সালের ২৯ মার্চ ৬ শীর্ষ জঙ্গির মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। ওই সাত জনের মধ্যে পালিয়ে থাকা জঙ্গি সদস্য আসাদুল ইসলাম ওরফে আরিফের মৃত্যুদন্ড কার্যকর হয়২০১৬ সালের ১৭ অক্টোবর। আজ শোক-শ্রদ্ধা আর ভালবাসার নানা কর্মসূচিতে ঝালকাঠিতে বিচারক হত্যা দিবস পালিত হচ্ছে।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব