বাস মালিক সমিতির দ্বন্দের কারনে বরগুনা-চান্দখালী-সুবিদখালী-কাঠালতলী-বাকেরগঞ্জ-বরিশাল মহাসড়কে বাস চলাচল বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ কারনে দক্ষিনের বরগুনা জেলাসহ মির্জাগঞ্জ উপজেলার হাজার হাজার যাত্রী তাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়বে। পটুয়াখালী বাস মালিক সমিতির গাড়ি গতকাল শুক্রবার এগারোটার সময়ে বরগুনা বাস ষ্ট্যান্ড থেকে বরিশালের উদ্যেশে বিসমিল্লাহ গাড়িটি ছেড়ে আসলে মির্জাগঞ্জের খলিশাখালীতে পৌছলে মির্জাগঞ্জের বাস মালিক সমিতির সভাপতি আবদুল বারেক সিকদারের নেতৃত্বে বাস থামিয়ে গাড়ির যাত্রী নামিয়ে দেন। এতে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে মির্জাগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
বরগুনা থেকে সরাসারি বরিশাল যাত্রীবাহী কোন বাস চলাচল না করলে ভোগান্তিতে পড়তে হয় হাজারও যাত্রীর। বাস চলাচল না করলে এমনকি বরগুনা থেকে বিভাগীয় শহর বরিশালে যেতে হলে সাধারন যাত্রীদেরকে প্রথমে বরগুনা থেকে গাড়িতে চড়ে চান্দখালী, এরপরে টেম্পো যোগে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সুবিদখালীতে আসতে হয়। রিকসা যোগে সুবিদখালী কলেজ রোড হয়ে টেম্পো ষ্টান্ড থেকে নসিমনে করে আবার একই ভাবে ঝুঁকি নিয়ে কাঠালতলীতে যেতে হয়। কাঠালতলী থেকে বরিশাল যেতে যাত্রীদের দ্বিগুন ভাড়া গুনতে হয় এবং মালামাল পরিবহনে অনেক হয়রানির শিকার হতে হয় যাত্রীদের। এব্যাপারে মির্জাগঞ্জ বাস মালিক সমিতির সভাপতির আবদুল বারেক সিকদার বলেন,মির্জাগঞ্জ বাস মালিক সমিতিকে বাদ দিয়ে বরিশাল, বরগুনা ও পটুয়াখালী বাস মালিক সমিতি গায়ের জোঁড়ে সড়কে গাড়ি চালায়। এতে আমাদের মির্জাগঞ্জের মালিক সমিতির গাড়িগুলো পড়ে থাকে। এমনকি তিন জেলার মালিক সমিতির কাছে একাধিকবার লিখিত ও মৌখিক ভাবে জানালো হলেও তারা তাতে কোন কর্নপাত করেনি।
১৭ এপ্রিল মির্জাগঞ্জ বাস মালিক সমিতি গাড়ি চলাচলের অনুমতির ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ডাক যোগ চিঠি প্রেরন করেন এবং গতকাল শুক্রবার গাড়ি চলাচল শুরু করি। পটুয়াখালী বাস মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক মোঃ গোলাম মাওলা দুলু মৃধা বলেন,বরগুনা-চান্দখালী-সুবিদখালী-কাঠালতলী-বাকেরগঞ্জ-বরিশাল মহাসড়কটির মির্জাগঞ্জের অংশটুকু পটুয়াখালী জেলার অন্তর্ভুক্ত। দুই বছর পর্যন্ত বরগুনা-বরিশাল ও পটুয়াখালী মালিক সমিতির বাস চলাচল করে আসছে। কিন্তু গতকাল শুক্রবার হঠাৎ করে মির্জাগঞ্জ বাস মালিক সমিতির সভাপতি মির্জাগঞ্জের খলিশাখালীতে পটুয়াখালীর বাস মালিক সমিতির যাত্রীবাহী বাস থামিয়ে যাত্রী নামিয়ে দেন। তবে তিনি এরকম কেন করছেন তা আমি জানি না। এ ব্যাপারে মির্জাগঞ্জ থানার বারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মাসুমুর রহমান বিশ্বাস বলেন, খলিশাখালিতে পটুয়াখালীর গাড়ি আটকে দেয়ার পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে মির্জাগঞ্জ বাস মালিক সমিতির সভাপতির সাথে কথা বলি এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছুটিতে আছেন। তিনি আসলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিয়ে মালিক সমিতিদের সাথে বৈঠক করে এর সমাধান করা হবে।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।