রাজশাহী দুর্বার বিপিএলে এক ম্যাচ পর ফিরে এসেছে বিজয়ের ট্র্যাকে। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৬৫ রানে পরাজিত করে তারা পরবর্তী ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছে। আর্থিক সমস্যার মধ্য দিয়ে যাওয়া রাজশাহী এবারের ম্যাচে একটি বড় জয়ের মাধ্যমে ফর্মে ফিরে আসে।
বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বের শুরুর দিকে রাজশাহীর ক্রিকেটাররা পারিশ্রমিক নিয়ে সমস্যায় পড়েছিলেন, যার ফলে তারা অনুশীলনে অংশ নিতে বিরত থাকেন। তবে, বিসিবির চাপের মুখে রাজশাহীর মালিকপক্ষ ২৫ শতাংশ পারিশ্রমিক প্রদান করলে দলটি আবারও ফুরফুরে মেজাজে মাঠে নামার সুযোগ পায়। এর পরই তাদের পারফরম্যান্সে লক্ষ্যণীয় পরিবর্তন দেখা যায়।
রাজশাহী টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় এবং ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৮৪ রান সংগ্রহ করে। সিলেটের বোলারদের বিরুদ্ধে রাজশাহীর ব্যাটসম্যানরা ভালোভাবে রান তুলতে থাকে, বিশেষ করে রায়ান বার্লের ৪১ এবং অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়ের ৩২ রানের ইনিংস ছিল দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
যদিও সিলেটের বল হাতে রুয়েল মিয়া ৩ উইকেট নিয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখান, তবে তার দলটি রাজশাহীর স্কোরের কাছে পৌঁছানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না। সিলেটের ব্যাটসম্যানরা ধারাবাহিকভাবে রান তুলতে পারেনি এবং ১৭.৩ ওভারে মাত্র ১১৯ রানেই তাদের ইনিংস শেষ হয়ে যায়।
সিলেটের ব্যাটিংয়ে মাত্র তিন ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্কে পৌঁছাতে সক্ষম হয়। টুর্নামেন্টের শীর্ষ রান সংগ্রাহক হওয়ার দৌড়ে থাকা জাকির হাসান সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন, তবে তার ব্যাটিং একাই দলের পরাজয় ঠেকাতে পারেনি। জাকের আলী এবং জর্জ মানসি ৩১ ও ২০ রান করেন যথাক্রমে, কিন্তু সিলেটের বাকিরা রান তোলায় ব্যর্থ হন।
রাজশাহী বোলিংয়ের দিক থেকে শক্তিশালী ছিল, যেখানে সানজামুল ইসলাম ৩ উইকেট নিয়ে শীর্ষ বোলার হিসেবে কাজ করেন। তাসকিন আহমেদ, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, এবং আফতাব আলম দুটি করে উইকেট নেন, যা সিলেটের ব্যাটিংকে ভেঙে দেয়।
এছাড়া, রাজশাহীর দলের ব্যাটিংয়ের পারফরম্যান্সে সবার মধ্যে একটি সঠিক সমন্বয় লক্ষ্য করা যায়, যা তাদের জয়ের পেছনে বড় ভূমিকা রাখে। দলটির ব্যাটসম্যানরা নিজেদের ইনিংসকে আরও মজবুত করতে সফল হন, এবং তাদের রানের চাপ সিলেটের উপর সৃষ্টি হয়।
এই জয়ের পর রাজশাহী ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চার নম্বরে পৌঁছেছে, যা তাদের জন্য একটি বড় অর্জন। অপরদিকে, সিলেট ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ছয় নম্বরে অবস্থান করছে এবং তাদের জন্য এটি একটি হতাশাজনক ফলাফল।
রাজশাহী এখন পরবর্তী ম্যাচগুলোতে আরও বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে এবং তাদের পারফরম্যান্সে আরও উন্নতি করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। সিলেটের দলও তাদের ফর্ম পুনরুদ্ধার করতে এবং পরবর্তী ম্যাচে ভালো ফলাফল আনার চেষ্টা করবে।
এই ম্যাচটি রাজশাহীর জন্য একটি নতুন শুরু এবং তারা জানে যে তাদের শক্তি এবং ফোকাস বজায় রেখে বিপিএলের শীর্ষে পৌঁছাতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।