রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে আয়োজিত 'মার্চ ফর ইউনিটি' কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে জনতার ঢল নামে। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকালে শহীদ মিনার এবং আশপাশের এলাকায় দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে আসা ছাত্র-জনতা ও বিপ্লবীরা অংশ নেন। তারা শেখ হাসিনাসহ জুলাই-আগস্টের গণহত্যায় জড়িতদের ফাঁসির দাবি জানান।
কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। শহীদ মিনারে অবস্থানরত জনতার মুখে বারবার উচ্চারিত হয়, ‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’ প্রভৃতি স্লোগান।
বক্তারা দাবি করেন, শহীদদের রক্তের দাগ এখনও শুকায়নি, অথচ স্বৈরাচারকে পুনর্বাসনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বক্তারা বলেন, ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। তারা আরও অভিযোগ করেন, কিছু ব্যক্তি ও দল সুশীলতার আড়ালে এই আন্দোলনের বিরোধিতা করছে, যা জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে।
কর্মসূচিতে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে আহত এবং শহীদ পরিবারের সদস্যরাও অংশ নেন। তাদের অনেকেই দাবি করেন, শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান জানিয়ে বৈষম্যমুক্ত ও গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা জরুরি।
এর আগে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অভ্যুত্থান পরবর্তী 'জুলাই প্রক্লেমেশন' প্রকাশের ঘোষণা দিলেও সরকারের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের আশ্বাস পাওয়ায় তারা এই পরিকল্পনা স্থগিত করে। তবে নেতারা স্পষ্ট জানিয়েছেন, দাবি পূরণ না হলে আগামীতে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী, সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষের উপস্থিতি কর্মসূচিকে জনস্রোতে রূপ দেয়। শহীদ মিনার এলাকা কার্যত জনসমুদ্রে পরিণত হয়, যা প্রমাণ করে জনগণের দাবি আদায়ে ঐক্যের গুরুত্ব।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।