বিশ্বরোডে গর্তে গাড়ি, থমকে গেছে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের প্রাণ

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শাহবাজপুর অংশে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আশুগঞ্জ থেকে চান্দুরা পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে চলমান এই যানজটে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন হাজার হাজার যাত্রী। গতকাল রাত ১২টা থেকে আজ দুপুর পর্যন্ত ছয় ঘণ্টায় মাত্র আশুগঞ্জ থেকে শাহবাজপুর পৌঁছাতে পেরেছেন অনেক যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী যানবাহন।

বিশেষ করে এই যানজটে আটকে পড়েছে রোগীবাহী একাধিক অ্যাম্বুলেন্স, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। যাত্রীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার অবস্থা বেহাল। এক লেনের রাস্তায় খানাখন্দে ভরা বিশাল গর্তগুলো চলাচলে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।

যাত্রী হানিফ বলেন, “আমি সিলেট যাওয়ার জন্য রাত ৮টায় গাড়িতে উঠেছি। অল্প কিছুদূর আসতেই শুনি বিশ্বরোড চত্বরে বড় গর্তের কারণে যানজট হচ্ছে। সেই তখন থেকে বসে আছি। গাড়ি চুল পরিমাণও নড়ছে না।”

একই অভিযোগ জানিয়ে হাবিব নামের আরেক যাত্রী বলেন, “এই রাস্তায় আমাদের সবসময়ই ভোগান্তি পোহাতে হয়। এখন তো মনে হচ্ছে, বের হলেই বিপদ।”

সরেজমিনে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বরোড এলাকায় সড়কের একটি বিশাল গর্তে একাধিক গাড়ি আটকে পড়ায় যানজটের সূত্রপাত হয়। পরবর্তী সময়ে পুরো ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে থমকে যায় যান চলাচল। হাইওয়ে পুলিশ ও ট্রাফিক সদস্যরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, তবে বিকল্প সড়কের অভাব এবং তাৎক্ষণিক সমাধানের উদ্যোগ না থাকায় পরিস্থিতির উন্নতি ঘটছে না।

এ বিষয়ে খাঁটি হাতা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মামুন রহমান বলেন, “বিশ্বরোড এলাকায় রাস্তার খানাখন্দে গাড়ি আটকে যাচ্ছে। যতদিন পর্যন্ত রাস্তার গর্তের কাজ শেষ না হবে, এই দুর্ভোগ চলবেই। আমাদের পুলিশ সদস্যরা কাজ করছে, তবে গাড়ির চাপও অনেক বেশি।”

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাস্তার গর্ত মেরামতের কাজ কয়েকদিনের মধ্যেই শুরু হবে। তবে আজকের মতো দীর্ঘ যানজটের পুনরাবৃত্তি না ঘটাতে প্রয়োজন জরুরি ভিত্তিতে বিকল্প ব্যবস্থা ও দ্রুত সংস্কার।