প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২৫, ১১:১৩
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, আপিল বিভাগ সাময়িক সমাধান নয় বরং নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থার স্থায়ী ও কার্যকর সমাধান চায়। তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে দেওয়া কেবল অস্থায়ী সমাধান হবে, যা ভবিষ্যতে আবারও সংকট সৃষ্টি করতে পারে। তাই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সুদূরপ্রসারী প্রভাব রাখবে এমন সমাধান প্রয়োজন।
বুধবার (২৭ আগস্ট) তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা আবেদনের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি এ মন্তব্য করেন। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়।
আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল এবং অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। এর আগে মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) এ মামলার প্রথম দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা চারটি আবেদনের শুনানি মুলতবি করেছিল আপিল বিভাগ। সে সময় জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী আইন ১৯৯৬ সালে সংসদে পাস হয়, যা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালুর বিধান করে। ১৯৯৮ সালে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়। হাইকোর্ট ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট রায় দিয়ে এই সংশোধনীকে বৈধ ঘোষণা করে।
পরবর্তীতে ২০১১ সালের ১০ মে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে ত্রয়োদশ সংশোধনীকে অবৈধ ঘোষণা করে। একই বছরের ৩০ জুন পঞ্চদশ সংশোধনী পাসের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল হয়।
সরকার পরিবর্তনের পর ৫ আগস্ট সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি পুনর্বিবেচনা আবেদন করেন। এছাড়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার ও মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন পৃথকভাবে আবেদন করেন।আপিল বিভাগ বলেছে, তারা এমন একটি সমাধান খুঁজছে যা নির্বাচনকে নিরপেক্ষ করবে এবং গণতন্ত্রের পথ সুগম করবে।