জ্বালানি তেলের সরবরাহ না থাকায় কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে তেল শুন্য হয়ে পড়েছে ফিলিং স্টেশন। এতে জ্বালানি তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। জ্বালানি তেল কিনতে এসে ক্রেতারা খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন। ফিলিং স্টেশনে তেল না থাকার সুযোগে অসাধু খুচরা বিক্রেতারা চড়া দামে পেট্রোল ও অকটেন বিক্রি করছেন। এতে জ্বালানি তেলের মূল্য অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। এক লিটার পেট্রোল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সরেজমিনে উপজেলার মেসার্স সাহা ফিলিং স্টেশনে গিয়ে দেখা যায় জ্বালানি তেল নিতে এসে ক্রেতারা ফিরে যাচ্ছেন। জানা গেছে, জ্বালানি তেলের সরবরাহ কম থাকায় ফিলিং স্টেশনটি তেল শুন্য হয়ে পড়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের খুচরা বিক্রেতারা এই সুযোগে ক্রেতাদের জিম্মি করে ৮৭ দশমিক ০৪ টাকা মূল্যের এক লিটার পেট্রোল ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি করছেন।
সুভাস বিশ্বাস নামের এক মোটরসাইকেল চালক বলেন, ব্যবসায়িক কাজে মোটরসাইকেলে এখানে সেখানে যেতে হয়। পেট্রোল পাওয়া যাচ্ছে না তাই বাধ্য হয়ে এক লিটার পেট্রোল ১৫০ টাকা দিয়ে নিতে হলো।
কাইয়ুম নামের আরেকজন মোটরসাইকেল চালক জানান, তিলাই ইউনিয়নের ধামেরহাট বাজারের বটতলার এক পেট্রোল বিক্রেতা এক লিটার পেট্রোলের দাম চেয়েছেন ২০০ টাকা।
আব্দুর রশিদ ও মামুন সহ আরো বেশ কয়েকজন খুচরা বিক্রেতা বলেন, ফিলিং স্টেশনে পেট্রোল ও অকটেন পাওয়া যাচ্ছে না তাই পেট্রোল ও অকটেন বিক্রি বন্ধ রয়েছে।
চড়া দামে পেট্রোল বিক্রি করা কয়েকজন খুচরা বিক্রেতার নিকট চড়া দামের কারণ জানতে চাইলে তারা বলেন, দুরদূরান্ত থেকে বেশি দামে তেল কিনে এনে বিক্রি করতে হচ্ছে তাই দাম বেশি।
মেসার্স সাহা ফিলিং স্টেশনের স্বত্বাধিকারীরা সমরজিৎ সাহা বলেন, ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় জ্বালানি তেলের দৈনিক চাহিদা প্রায় ৩ হাজার লিটার। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় ফিলিং স্টেশনে তেল নেই। আগামী দু-এক দিনের মধ্যেই জ্বালানি তেলের সংকট কেটে যাবে।
চড়া দামে জ্বালানি তেল বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে কিনা জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার দেব শর্মার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।