১২৩ টুইট ট্রাম্পের মেজাজ হারিয়ে দুই ঘণ্টায়!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: রবিবার ১৫ই ডিসেম্বর ২০১৯ ১০:৫১ পূর্বাহ্ন
১২৩ টুইট ট্রাম্পের মেজাজ হারিয়ে দুই ঘণ্টায়!

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইমপিচমেন্টে অভিযোগ গঠন করেছে প্রতিনিধি পরিষদ বা কংগ্রেস। অভিযোগ গঠন করা হবে কি না তা নিয়ে প্রতিনিধি পরিষদে ভোট হলে অভিযোগের পক্ষে পড়ে বেশি ভোট। এই ভোট ও ইমপিচমেন্টকে কেন্দ্র করে বেজায় চটেছেন ট্রাম্প। ভোট ও ভোটের পরবর্তী মাত্র দুই ঘন্টায় ১২৩ টুইট করে রেকর্ড গড়েছেন তিনি।তার সব টুইটেরই মূল বক্তব্য হলো, কোনো অন্যায় না করা সত্ত্বেও তাকে ইমপিচমেন্টের চেষ্টা চালাচ্ছে ডেমোক্র্যাটরা। এটা অন্যায়। এসব টুইটে তিনি অভিযোগ করেন, বিরোধী ডেমোক্র্যাট এবং সংবাদ মাধ্যমের একাংশ তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এসময় ট্রাম্প ডেমোক্র্যাটের সমালোচনা করে বলেন, ভয়ঙ্কর এই দলটা আসলে দেশেরই ভাল চায় না।’

ট্রাম্পকে ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে যে অভিযোগে তা হলো- ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন ও তার ছেলের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে  ইউক্রেনকে চাপ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এই তদন্ত না করলে তাদের অর্থ দেয়া বন্ধেরও হুমকি দিয়েছেন তিনি। এই ফোনালাপ সামনে আসতেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু করে প্রতিনিধি পরিষদ। যার নিয়ন্ত্রণ ডেমোক্র্যাটদের হাতে।

ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হবে কি না তা নিয়ে শুক্রবার প্রতিনিধি পরিষদে ভোট হয়। ওই ভোটে যে ‘সুখবর’ আসছে না, তা আগেভাগেই আন্দাজ করেছিলেন প্রেসিডেন্ট। সেই সূত্র ধরেই দিনের শুরু থেকে তিনি বলতে শুরু করেন, ‘কোনও অন্যায় করিনি। বরং প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেশকে সবচেয়ে শক্ত অর্থনীতি দিয়েছি, ঢেলে সাজিয়েছি ডিফেন্সকে, চাকরির বন্দোবস্ত করেছি সবার জন্য। তারপরেও ইমপিচমেন্টের নামে এই ভিত্তিহীন ষড়যন্ত্র!’

ভোটের ফল পাওয়ার পর ট্রাম্প হুমকি দিয়ে বলেন, ‘খুব ভাল কথা। আগামী দিনে আসুন ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট। হাউসের দখল তখন থাকবে রিপাবলিকানদের হাতে। তখন বুঝবেন, কত ধানে কত চাল! শুধু রাজনৈতিক ফায়দা নিতে ইমপিচ করতে চাইলে, ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হবেই।’অভিযোগ গঠন হয়েছে। এখন সামনে ইমপিচমেন্ট নিয়ে কংগ্রেসে ভোট হবে।কংগ্রেসে বর্তমানে ট্রাম্পের বিরোধীরা সংখ্যাগুরু। ফলে অধিকাংশ কংগ্রেস সদস্য ইমপিচমেন্ট প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিলে পরের পর্যায়ে তদন্ত অনুষ্ঠিত হবে সিনেটে। প্রেসিডেন্টকে পদ থেকে অপসারণের জন্য দুই-তৃতীয়াংশ সিনেটরের সম্মতি প্রয়োজন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রেসিডেন্টকে ইমপিচ করার উদ্যোগ এই প্রথম নয়। বিল ক্লিনটন সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট যাকে এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছিল। সেটা ১৯৯৮ সালের ঘটনা। অ্যান্ড্রু জনসন প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট যার বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের প্রক্রিয়া শুরু করেছিল মার্কিন প্রেসিডেন্টের নিম্নকক্ষ অর্থাৎ হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভ। সেটা ১৮৬৮ সালের ঘটনা। তবে তাদের কাউকেই সেনেট দোষী সাব্যস্ত করেনি।