'নাগরিকত্ব বিল' নিয়ে মুসলিমদের দুশ্চিন্তার কারণ নেই: অমিত শাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বুধবার ১১ই ডিসেম্বর ২০১৯ ০৪:১৬ অপরাহ্ন
'নাগরিকত্ব বিল' নিয়ে মুসলিমদের দুশ্চিন্তার কারণ নেই: অমিত শাহ

রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়কে আশ্বাসবাণী শোনালেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সংসদের উচ্চকক্ষে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পেশ করেন তিনি। বুধবার রাজ্যসভায় তিনি বলেন, দেশের মুসলমানদের ভয় পাওয়ার কোনো দরকার নেই। তারা দেশের নাগরিক আছেন এবং থাকবেন। এই বিলটি মুসলমানদের বিরুদ্ধে করা হয়েছে এমন ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি যে বাস্তব ঘটনা তা নয়। ‘ 

তিনি বলেন, এই বিলটি কেবল প্রতিবেশী দেশগুলির সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য। ভারতে বসবাসকারী মুসলমানদের সঙ্গে এর কোনো যোগসূত্র নেই। খবর এনডিটিভির।

অমিত শাহ বলেন, ‘ভারতীয় মুসলিমরা সবসময় সুরক্ষিত এবং নিরাপদেই থাকবেন। আমি ভারতীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে আবেদন করছি, দয়া করে ভুল তথ্যের দ্বারা প্রভাবিত হবেন না। দয়া করে বিপথগামী হবেন না। দয়া করে ভয় পাবেন না। নির্ভয়ে এ দেশে জীবন কাটাবেন আপনারা।’

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে ২০১৫ সালের আগে এই দেশে পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আসা অ-মুসলিম অভিবাসীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ সহজ করার চেষ্টা করা হয়েছে।  সোমবার রাতে লোকসভায় পাস হয় বিলটি।

অমিত শাহ বলেন, কিছু লোক বলছেন যে, প্রতিবেশী দেশগুলি থেকে এ দেশে আসা যে কাউকে ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া উচিত। এই তিনটি প্রতিবেশী দেশেই মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ জাতি হিসাবে বসবাস করে এবং তাদের সংবিধানেও ইসলাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সুতরাং তারা অন্যান্য সম্প্রদায়ের মতো ধর্মীয় নিপীড়নের মুখোমুখি হচ্ছে না। কিন্তু কিছু লোক বলছেন, আমাদের পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে আসা মুসলিমদেরও নাগরিকত্ব দেওয়া উচিত।  বিশ্বের সমস্ত মুসলিমদের কি আমাদের নাগরিক বানানো উচিত? এটা কীভাবে হতে পারে? একটি দেশ কীভাবে এইভাবে কাজ চালাতে পারে? 

কংগ্রেসসহ বেশ কিছু বিরোধী দল এই বিলটির তীব্র সমালোচনা করেছে। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে অমুসলিম পাকিস্তানি, আফগান, এবং বাংলাদেশীদের ভারতীয় নাগরিক করার রাস্তা সহজ করে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।  

এই বিলটিকে ‘বৈষম্যমূলক’  উল্লেখ করে বিরোধীরা বলেন, এটি দেশের সংবিধানের সাম্য এবং ধর্মনিরপেক্ষতার নীতিকে লঙ্ঘন করে।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব