সৌদিতে আরও দুই অ্যালকোহল স্টোর খুলতে প্রস্তুতি

পরিকল্পনা অনুযায়ী, ধাহরানের দোকানটি কেবলমাত্র আরামকোর বিদেশি কর্মীদের জন্য সীমাবদ্ধ থাকবে, যেখানে প্রবেশাধিকার কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত হবে। অন্য দোকানটি জেদ্দার কনস্যুলেট এলাকায় কূটনৈতিক সম্প্রদায়ের জন্য পরিচালিত হবে। ২০২৬ সালে দোকান দুটি খোলার প্রাথমিক পরিকল্পনা থাকলেও আনুষ্ঠানিক সময় এখনো ঘোষণা করা হয়নি। সৌদি সরকার বা আরামকো—কোনো পক্ষই এ বিষয়ে মন্তব্য করেনি।

এটি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বাধীন সংস্কার প্যাকেজ “ভিশন ২০৩০”-এর আরেকটি দৃষ্টান্ত, যার মাধ্যমে সৌদি আরব নিজেদের দীর্ঘদিনের সামাজিক বিধিনিষেধ শিথিল করে আন্তর্জাতিক বাজার, পর্যটন ও বিনিয়োগে উন্মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করছে।

এর আগে, ২০২৩ সালে রিয়াদে প্রথমবারের মতো অমুসলিম কূটনীতিকদের জন্য একটি অ্যালকোহল স্টোর চালু করা হয়—যা ৭৩ বছরের নিষেধাজ্ঞার ইতিহাস ভাঙে। ‘বুজ বাঙ্কার’ নামে পরিচিত সেই দোকানে সাম্প্রতিক সময়ে অমুসলিম প্রিমিয়াম রেসিডেন্সি–ধারীদেরও গ্রাহক হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে।

এর আগে অ্যালকোহল পাওয়া যেত মূলত কূটনৈতিক ব্যাগেজ, কালোবাজার বা বাসায় নিজস্ব প্রস্তুতকৃত ব্যবস্থার মাধ্যমে। উপসাগরীয় দেশগুলোর অনেকটিতে সীমিতভাবে অ্যালকোহল বৈধ হলেও, সৌদিতে অ্যালকোহল এখনো অধিকাংশ নাগরিকের জন্য সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

সৌদি আরবে সামাজিক উন্মুক্ততা দ্রুত বাড়লেও অ্যালকোহল নীতিতে পরিবর্তন এখনো খুবই সতর্ক। রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সামাজিক সংবেদনশীলতার কারণেই এই শিথিলতা ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

পর্যটনমন্ত্রী আল-খাতিব সম্প্রতি জানান, বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণে অ্যালকোহল নিষেধাজ্ঞা শিথিল হবে কি না—এ বিষয়ে ‘এখনো কোনো পরিবর্তন হয়নি’। তবে ভবিষ্যতের সম্ভাবনা বিষয়ে তিনি স্পষ্ট জবাব দেননি।