খামেনির উত্তরসূরি নির্ধারণে গোপন পদক্ষেপ, রয়েছে চমক

এই সংস্থাটি মূলত ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকে মনোনয়নের দায়িত্বে থাকে। সাধারণত নতুন সর্বোচ্চ নেতাকে বেছে নিতে মাসের পর মাস সময় লাগে এবং পুরো প্রক্রিয়া থাকে গোপনীয়তার চাদরে ঢাকা। তবে চলমান যুদ্ধ, সম্ভাব্য হত্যাচেষ্টা এবং ইরানের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা খামেনিকে সময়ের আগেই উত্তরাধিকার নিশ্চিতে বাধ্য করেছে বলে জানাচ্ছেন কর্মকর্তারা।

অ্যাসেম্বলি অব এক্সপার্টসের কয়েকজন সদস্যের বরাতে জানা যায়, জমা দেওয়া নাম তিনটির মধ্যে আয়াতুল্লাহ খামেনির ছেলে মুজতবা খামেনির নাম নেই, যদিও তাকে নিয়ে আগে আলোচনা চলছিল। এ থেকে বোঝা যায়, তিনি চান না পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ উঠে বা উত্তরসূরি নির্বাচনে পক্ষপাতের সমালোচনা হোক।

ইরানের অভ্যন্তরে ও বাইরে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল। ইসরায়েলের চলমান হামলা, শত শত মানুষের প্রাণহানি এবং ইরানের পাল্টা প্রতিক্রিয়া—সব মিলে দেশ এখন এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এই অবস্থায় সুশৃঙ্খল নেতৃত্ব হস্তান্তর প্রক্রিয়া নিশ্চিত করাই খামেনির জন্য এখন মূল লক্ষ্য।

বিশ্লেষকদের মতে, এই সিদ্ধান্ত শুধু ইরানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেই নয়, গোটা মধ্যপ্রাচ্যের ক্ষমতার ভারসাম্যেও প্রভাব ফেলতে পারে। কেননা, নতুন নেতা কে হবেন, তার নীতিগত অবস্থান কেমন হবে—তা নির্ধারণ করবে ইরানের ভবিষ্যৎ আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং যুদ্ধনীতিকে।