প্রকাশ: ৯ জুন ২০২৫, ১৭:৫৫
যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনবিরোধী আন্দোলন নতুন করে তীব্র আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসে চলমান বিক্ষোভ পরিস্থিতিকে রীতিমতো রণক্ষেত্রে রূপান্তর করেছে। বিক্ষোভকারীদের ওপর দমনমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি এবার মাস্ক পরা ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যা নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক।
সোমবার এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ট্রাম্প তার নিজস্ব সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করে বলেন, ‘এখনই মাস্ক পরা লোকদের গ্রেপ্তার করুন।’ তিনি আরও জানান, যে কেউ বিক্ষোভে মুখে মাস্ক পরে অংশ নিলে তাকে তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার করতে হবে। যদিও এ সিদ্ধান্ত কতটা আইনি কাঠামোর মধ্যে পড়ে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেক বিশেষজ্ঞ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাস্ক পরার পেছনে বিক্ষোভকারীদের দুটি মূল কারণ রয়েছে। প্রথমত, তারা নিজেদের পরিচয় গোপন রাখতে চান এবং দ্বিতীয়ত, পুলিশের ছোড়া কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেটের আঘাত থেকে বাঁচতে চান। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, মাস্কের আড়ালে থেকে তারা সহিংসতা ছড়াচ্ছেন, এ কারণে মাস্ক নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রোববার টানা তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে উঠে লস অ্যাঞ্জেলেসের রাস্তাঘাট। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়। যদিও ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম এই মোতায়েনকে অবৈধ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের নির্দেশ অমান্য করায় এদিন ২৭ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স ইঙ্গিত দিয়েছেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় আরও সেনা মোতায়েন করা হতে পারে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়নি। ট্রাম্প নিজে জানিয়েছেন, তিনি পরিস্থিতির ওপর নিবিড়ভাবে নজর রাখছেন।
এদিকে অভিবাসন দপ্তরের তৎপরতা বেড়ে যাওয়ায় ক্যালিফোর্নিয়ার বিভিন্ন এলাকায় ১১৮ জন অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই শুরু হয় বিক্ষোভ, যা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। সরকারের এই কঠোর অবস্থান এবং মাস্ক নিষিদ্ধের নির্দেশ ভবিষ্যতে বিক্ষোভ আরও উত্তপ্ত করে তুলবে বলেই ধারণা বিশ্লেষকদের।