বিজিবির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রংপুর রিজিয়নের সীমান্ত এলাকা ১৬৬৮.৮৫৪ কিলোমিটারজুড়ে বিস্তৃত, যার নিরাপত্তায় রয়েছে ৪টি সেক্টর এবং ১৫টি ব্যাটালিয়ন। গত নভেম্বর মাসে বিজিবির অভিযানে ৯৬৬ বোতল ফেনসিডিল, ১ হাজার বোতল বিদেশি মদ, ৩ হাজার ৪৬৯ পিস ইয়াবা, ২২৮ কেজি গাঁজা, ২ হাজার ৫১ পিস নেশাজাতীয় সিরাপ, ৮ হাজার ৫৯০ পিস মেটাডক্সিন ট্যাবলেট, ১৭ হাজার ৯৬৭ পিস ভারতীয় ট্যাপেন্টাডল এবং ৫ হাজার ৭৪৩টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন জব্দ করা হয়। একইসঙ্গে ৫ জন পুরুষ, ৩ নারী এবং ২ শিশুসহ মানবপাচার চক্রের ভারতীয় একজন সদস্যকে আটক করা হয়।
এছাড়া অভিযানে ৩টি ওয়ান শুটারগান, ৬ রাউন্ড গুলি, ২.৩ কেজি গানপাউডারসহ ব্যাপক চোরাচালানী মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ভারতীয় প্রসাধনী ১০ হাজার ২৬০ পিস, ঔষধ ৬ হাজার ৮৭৭ পিস, খাদ্যসামগ্রী ১ হাজার ৯০৩টি, ৯১টি শাড়ি, ২টি লেহেঙ্গা, প্যান্টের কাপড় ৪টি, ৮২টি কম্বল, ৯০টি শাল, ৬৯৪ কেজি জিরা, ৭৬০ কেজি ধানের বীজ, ১৫৪ কেজি চিনি, ১ হাজার ৭৭৫ কেজি পেঁয়াজ, ১০১ কেজি আপেল, একটি ট্রাক, ৩টি ইজিবাইক, ৬টি নৌকা, ২৫টি মোটরসাইকেল, ১৫টি বাইসাইকেল এবং ৬৬টি মোবাইল।
সামাজিক দায়িত্বের অংশ হিসেবে রিজিয়নের আওতাধীন এলাকায় ৩০০ জনকে কম্বল, ১০০ শিশুকে শীতবস্ত্র ও ৫০০ জনকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে। এক মাসে ২ হাজার ৫৮৬টি জনসচেতনতামূলক সভা করেছে বিজিবি। প্রেস ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন কর্নেল ফয়সাল হাসান।