প্রকাশ: ৮ জুন ২০২৫, ১১:৮
ইয়েমেনি হুথি বাহিনীর ধারাবাহিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ফলে ইসরাইলের বেন-গুরিয়ন বিমানবন্দরে এখনো স্বাভাবিক আন্তর্জাতিক ফ্লাইট কার্যক্রম চালু হয়নি। সাম্প্রতিক রিপোর্টে দেখা গেছে, বিশ্বের বেশ কয়েকটি প্রধান এয়ারলাইন্স এখনো তেল আবিবগামী ফ্লাইট চালু করতে দ্বিধায় রয়েছে, যা ইসরাইলের বিমান চলাচল খাতের ওপর গভীর প্রভাব ফেলছে।
শনিবার ইসরাইলি গণমাধ্যম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছে, হুথি নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনের হামলা ও হুমকির কারণে বিমানবন্দর ও আকাশপথ ব্যবস্থাপনায় মারাত্মক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরাও এই পরিস্থিতিকে উদ্বেগজনক বলে অভিহিত করছেন।
ইয়েমেনের আল-মাসিরাহ নেটওয়ার্কের বরাতে জানা যায়, একটি ইসরাইলি অর্থনৈতিক সংবাদমাধ্যম স্বীকার করেছে, স্বল্প কিছু ফ্লাইট চালু হলেও এখনো তেল আবিবে স্বাভাবিক বিমান চলাচল শুরু হয়নি। এর ফলে ইসরাইলের অর্থনীতি ও পর্যটন খাতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্লাইট চালু না হওয়ার বিষয়টি একাধিক এয়ারলাইন্স নিশ্চিত করেছে এবং তারা জানিয়েছে, পুনরায় ফ্লাইট চালুর সম্ভাব্য সময় এখনো নির্ধারিত নয়। এমনকি অনেকে তাদের ফ্লাইট ফেরত যাওয়ার পরিকল্পনাও অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে দিয়েছে।
এই স্থবিরতার মূল কারণ হিসেবে ইয়েমেনি বাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকেই দায়ী করা হয়েছে। ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে, তবুও আকাশপথে নিরাপত্তাহীনতার বোধ এড়ানো যাচ্ছে না।
উল্লেখ্য, গ্রীষ্মকালীন ভ্রমণের চাহিদা বৃদ্ধি পেলেও এ অবস্থার কারণে ফ্লাইট সংকট ও টিকিটের মূল্য অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। এতে সাধারণ যাত্রীরাও দুর্ভোগে পড়েছেন এবং অনেকে তাদের যাত্রা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন।
অন্যদিকে গাজায় ঈদ পরবর্তী ইসরাইলি হামলায় প্রাণহানি আরও বেড়েছে। গত ৭ জুন ইসরাইলি বিমান হামলায় অন্তত ৭৫ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে এক পরিবারের ১৬ সদস্য রয়েছে, যাদের মধ্যে ৬ জনই শিশু।
আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে গাজার সিভিল ডিফেন্স বিভাগের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, ধ্বংসস্তুপ থেকে লাশ উদ্ধারের দৃশ্য গাজায় মানবিক বিপর্যয়ের স্পষ্ট চিত্র তুলে ধরেছে। এই গণহত্যার প্রতিবাদে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ আরও বাড়ছে।