প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৫, ১২:২৭
পাকিস্তান ও ভারতের সাম্প্রতিক সীমান্ত উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চালানো ‘অপারেশন বুনিয়ান-উম-মারসুস’ আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসা কুড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস এই সামরিক অভিযানকে একটি “বিশেষ সাফল্য” হিসেবে উল্লেখ করে বিস্তারিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই অভিযানের মাধ্যমে পাকিস্তান শুধু একটি প্রতিক্রিয়া জানিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, বরং তারা যুদ্ধের কৌশলগত দিক থেকে শক্ত অবস্থান নিয়ে একটি বড় অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তির সঙ্গে সমানে সমানে মোকাবিলা করেছে। এতে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে এবং সেইসঙ্গে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পাকিস্তানের সামরিক সক্ষমতার একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়েছে।
অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও সেনাবাহিনীর এই সাফল্য দেশটিতে নতুনভাবে জাতীয় আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে এনেছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে সেনাবাহিনীর প্রতি যে সমর্থন দেখা দিয়েছে, তা এই অভিযানের ফলেই সম্ভব হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে ‘জাতীয় রক্ষক’ আখ্যা দিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমস বলেছে, তার দৃঢ় নেতৃত্ব ও কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গিই এই সফলতার পেছনে মূল ভূমিকা রেখেছে। সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি যে আগের চেয়ে আরও মজবুত হয়েছে, তা এই অভিযানের পরবর্তী জনমত ও রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া থেকেই স্পষ্ট।
দেশটির রাজনৈতিক দলগুলোও এই অভিযানের প্রশংসা করে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে। বিভিন্ন বিশ্লেষক মনে করছেন, এই ধরনের সামরিক অর্জন পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা পুনর্গঠনে সহায়ক হতে পারে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই অভিযান পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে আবারও একটি দৃঢ় ও নির্ভরযোগ্য জাতীয় প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করেছে। অতীতে নানা বিতর্কে থাকা সেনাবাহিনী বর্তমানে জনগণের আস্থার কেন্দ্রবিন্দুতে ফিরে এসেছে।
আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টিতে এই অভিযানের গুরুত্ব থাকলেও পাকিস্তানের জন্য এটি ছিল আত্মমর্যাদা রক্ষার এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। যুদ্ধক্ষেত্রে সামরিক দক্ষতার পাশাপাশি কূটনৈতিক পরিণতির দিক থেকেও এই অভিযান দেশটির জন্য একটি সফলতা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।