ভারতের রাজস্থানে ৭০০ ফুট গভীর কুয়ায় পড়ে যাওয়া ৩ বছরের শিশু চেতনাকে উদ্ধারে চলছে নিরলস প্রচেষ্টা। ৬০ ঘণ্টা পার হলেও এখনো তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
সোমবার দুপুরে রাজস্থানের একটি গ্রামে জমিতে খেলার সময় শিশুটি উন্মুক্ত কুয়ায় পড়ে যায়। প্রথমে শিশুটি ১৫ ফুট গভীরে আটকে ছিল। তবে পরিবারের সদস্যরা উদ্ধার করার চেষ্টা করলে সে আরও গভীরে, ১৫০ ফুট পর্যন্ত নেমে যায়।
স্থানীয় প্রশাসন ও উদ্ধারকর্মীরা শিশুটিকে উদ্ধারে ব্যবহার করছেন বিশেষ র্যাট-হোল মাইনিং পদ্ধতি। এটি সাধারণত সংকীর্ণ গর্ত বা টানেল থেকে মানুষ বা সামগ্রী উদ্ধারের জন্য ব্যবহৃত হয়। যদিও এই পদ্ধতি ঝুঁকিপূর্ণ, তবে ২০২৩ সালে উত্তরাখণ্ডে একটি দুর্ঘটনায় সফলভাবে শ্রমিকদের উদ্ধারে এটি প্রয়োগ করা হয়েছিল।
উদ্ধারকাজে বিশেষজ্ঞরা অক্সিজেনের অভাব রোধে একটি পাইপের মাধ্যমে শিশুটির কাছে অক্সিজেন পৌঁছে দিয়েছেন। সরু ও গভীর গর্তের কারণে উদ্ধার প্রক্রিয়ায় বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, শিশুটিকে উদ্ধার করার জন্য র্যাট-হোল মাইনার্স নিযুক্ত করা হয়েছে। এই পদ্ধতিটি মেঘালয় রাজ্যে কয়লা উত্তোলনের জন্য পরিচিত ছিল, যা ২০১৪ সালে নিষিদ্ধ করা হয়। তবে সংকটময় পরিস্থিতিতে এটি এখন কার্যকর ভূমিকা পালন করছে।
পরিবারের সদস্যরা উৎকণ্ঠায় অপেক্ষা করছেন, আর স্থানীয় প্রশাসন শিশুটিকে নিরাপদে উদ্ধারের জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। পুরো এলাকায় উদ্বেগের ছাপ স্পষ্ট।
এই দুর্ঘটনা কুয়া বা গভীর গর্তের আশেপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঘাটতি নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের উন্মুক্ত কুয়াগুলোর জন্য আরও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
উদ্ধারকর্মীরা আশা করছেন, যত দ্রুত সম্ভব চেতনাকে নিরাপদে উপরে নিয়ে আসা যাবে। ঘটনাটি রাজস্থানের স্থানীয় জনগণের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।