প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৫, ১৭:২৮
সোমবার (১৯ মে) এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে, আমদানির নথিপত্রে অনিয়মের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস, সান ফ্রান্সিসকো ও আটলান্টা বিমানবন্দরে এলামেন্তিতে পাঠানো ভারতের অন্তত ১৫টি আমের চালান বাতিল করা হয়েছে।
রপ্তানিকারীরা জানাচ্ছেন, আমগুলোর পচন বা পুনঃরপ্তানির বিবেচনায় তারা প্রায় ৫ লাখ ডলার ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন। অনেকেই আয়ত্তে থাকা ডকুমেন্টেশনের অভাবের কারণে আম ফেলে আসার সিদ্ধান্ত নিয়ে ভাবছেন।
সূত্র বলছে, এসব চালান ৮ ও ৯ মে মুম্বাইয়ের নির্ধারিত বিকিরণ কেন্দ্রে গিয়ে কীটনাশকবিহীন করার উদ্দেশ্যে নিয়ন্ত্রিত রেডিয়েশন প্রক্রিয়া সফলভাবে পেয়েছিল। সাধারণত এই প্রক্রিয়ায় আমের সংরক্ষণক্ষমতা বাড়ে এবং কীটপতঙ্গ নির্মূল হয়।
তবে মার্কিন কাস্টমস ও বর্ডার প্রোটেকশন বিভাগ চালানের সাথে সংশ্লিষ্ট নথিপত্রে ত্রুটি পাওয়ায় আম গ্রহণে অস্বীকার করেছে। তারা জানিয়েছে, আমদানিকারকরা যা নথি জমা দিয়েছিলেন, তা প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী যাচাই-বাছাইয়ে ফেলিয়ে দিয়েছে।
বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ঘটনা দুই দেশের মধ্যকার ফল-ফুল রপ্তানি ও আমদানি সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক ছাপ ফেলতে পারে। ২০২৪ সালের তুলনায় ভারতের আম রপ্তানি ১২ শতাংশ বাড়লেও এ ধরনের বাধা বিনিয়োগকারীদের অনিশ্চয়তা বৃদ্ধি করছে।
করের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে আম বিক্রেতারা আমদানিতে সময়মতো চালান না পৌঁছালে বাজারে মৌসুমি আমের ঘাটতি তৈরি হবে এবং দাম বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আমের মূল্য বিক্রেতারা। এতে আম রান্না-খাবারের পাশাপাশি খাদ্যশিল্পেও প্রভাব পড়তে পারে।
ভারতীয় রপ্তানিকারক সংগঠন ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনের (ফাই ইও) এক প্রতিনিধির বক্তব্য, “আমরা বিষয়টি আমেরিকার তারা কর্তৃপক্ষের কাছে ধরে রেখেছি এবং দ্রুত নথিপত্র হালনাগাদ করে পুনরায় চালান পাঠানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করব।”
দুটি দেশের বাণিজ্য ক্ষেত্রে ইতিমধ্যে আইনি ও প্রশাসনিক পর্যায়ে আলোচনার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। প্রয়োজনীয় নথি পর্যালোচনার পর আম রপ্তানিতে সহায়তা প্রকল্পে পরিবর্তন আনা হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।