প্রকাশ: ২১ মে ২০২৫, ২১:২৪
রাজধানীর কাকরাইলে বুধবার বিকেলে অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে তীব্র প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নেতা ও সদ্য ঘোষিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইশরাক হোসেন। তিনি দাবি করেন, সরকারের ভেতরেই এমন কিছু ব্যক্তি রয়েছেন যারা বিএনপির সম্ভাবনা ধ্বংস করতে চক্রান্তে লিপ্ত।
সমাবেশে ইশরাক হোসেন বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম প্রতিষ্ঠান। তারা যে সিদ্ধান্ত নেয়, তা মান্য করা সব পক্ষের দায়িত্ব। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, সরকারের মধ্য থেকে নির্বাচন কমিশনের উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এমন অবস্থায় জাতীয় নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠছে।
এই প্রেক্ষাপটে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার পদত্যাগ দাবি করেন। তার ভাষায়, তারা সরকারের অবস্থানে থেকে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করছেন, যা একটি নিরপেক্ষ সরকারের নীতিমালার পরিপন্থী।
সমাবেশস্থলে সন্ধ্যা সাতটার দিকে পৌঁছালে সমর্থকদের উচ্ছ্বাসে মুখর হয়ে ওঠে এলাকা। নানা স্লোগানে ইশরাককে স্বাগত জানানো হয়। তিনি সোজাসাপ্টা বলেন, “মেয়র হওয়া বড় কথা নয়, জনগণের ভোটের প্রতি সম্মান থাকা বড় কথা। আমরা নিরপেক্ষ সরকার চাই, না হলে এই সরকারের অধীনে কোন জাতীয় নির্বাচন সম্ভব নয়।”
তিনি আরও বলেন, যদি নিরপেক্ষতা নিশ্চিত না করা হয়, তাহলে আরেকটি স্বৈরাচারী সরকার তৈরি হবে, যা দেশের জন্য মারাত্মক বিপজ্জনক। তার মতে, জনগণ শেখ হাসিনাকে যেমন বিদায় দিয়েছে, তেমনি সব ধরনের স্বৈরাচারী সরকারেরও বিদায় ঘটাবে।
এর আগে বিকাল সাড়ে ৪টায় ইশরাক হোসেন তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে জানান, আন্দোলনকারী জনতার প্রতি তার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে এবং যতদিন প্রয়োজন, ততদিন তিনি রাজপথে থাকবেন। তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে লেখেন, ‘নির্দেশ একটাই, যতক্ষণ দরকার রাজপথ ছাড়বেন না।’
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসকে হারিয়ে ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল। এরপর নির্বাচন কমিশন ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে তাকে ঢাকার দক্ষিণের মেয়র হিসেবে ঘোষণা করে। এর পর থেকেই নগর ভবনের সামনে ইশরাকপন্থি নেতাকর্মীদের অবস্থান চলছে।