প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২২, ৪:২৫
রাজ্যসভার সাংসদ পদের দাম ১০০ কোটি। মোটা টাকা দিলে হওয়া যেতে পারে রাজ্যপালও। টাকার বিনিময়ে মিলবে সরকারি সংস্থার চেয়ারম্যান পদও। সিবিআই আধিকারিক সেজে এমনই টোপ দিত মহারাষ্ট্রের এক ব্যক্তি। অবশেষে এই প্রতারণা চক্রের পর্দা ফাঁস করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। টাকা নেওয়ার আগেই হাতেনাতে মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল সিবিআই ।
সিবিআই সূত্রে খবর, চার অভিযুক্তের হদিশ মিলেছে। তারমধ্য়ে রয়েছে মহারাষ্ট্রের কমলাকর প্রেমকুমার বন্দগর,কর্ণাটকের বাসিন্দা রবীন্দ্র বিঠাল নায়েক এবং দিল্লির বাসিন্দা মহেন্দ্র পাল অরোরা এবং অভিষেক বোরা। সিবিআই সূত্রে খবর, কমলাকর এবং অভিষেক বোরা ষড়যন্ত্রের মাথা। তারা নিজেদের যোগাযোগ কাজে লাগিয়ে মানুষজনকে প্রভাবিত করত। প্রেমকুমার কেন্দ্রীয় সরকারি উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের চিনতেন। সেই যোগাযোগকেই কাজে লাগাতেন বলে অভিযোগ।
এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই। সেখানে বলা হয়েছে. প্রেমকুমার নিজেকে সিবিআই আধিকারিক হিসেবে পরিচয় দিতেন। বাকি অভিযুক্তদের কাজ ছিল ক্লায়েন্ট খুঁজে আনা। মোটা টাকার বিনিময়ে তাঁদের বিভিন্ন কাজ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতেন অভিযুক্তরা। রাজ্যপাল, রাজ্যসভার সাংসদ, সরকারি সংস্থায় চেয়ারম্যান পদের টোপ দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতাতেন তাঁরা। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে স্থানীয় থানার পুলিশ কর্মীদেরও হাতে রাখার চেষ্টা করত প্রেমকুমার এবং অভিষেক। এমনকী, তদন্ত প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতেন। বদলে মোটা টাকা নিতেন তাঁরা।
এই প্রতারণা চক্র সম্পর্কে সিবিআইয়ের কাছে খবর ছিল আগেই। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই তাদের ফোনে আঁড়ি পাতছিল সিবিআই। শেষপর্যন্ত টাকা হস্তান্তরের আগেই প্রতারণা চক্রের পাণ্ডাদের গ্রেপ্তার করে সিবিআই। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে চক্রের সঙ্গে আর কারা যুক্ত রয়েছে, কোন সরকারি কর্তা, রাজনৈতিক নেতারা যুক্ত রয়েছেন, তার হদিশ পাওয়ার চেষ্টা চলছে।