প্রকাশ: ৫ এপ্রিল ২০২২, ১:১৯
হোয়াটসঅ্যাপ বা ফেসবুক মেসেঞ্জারে অচেনা ভিডিও কল। ফোন ধরতেই ফাঁদে পড়েন অনেকে। কয়েক সেকেন্ডের নগ্ন ভিডিও দেখানোর পরেই শুরু হয় ব্ল্যাকমেল। সামাজিক সম্মান রক্ষা করতে চাইলে মোটা টাকা চাওয়া হয়। এবার যার শিকার হলেন এক সিপিএম নেতা।
চন্দননগরের সিপিএম নেতা গোপাল শুক্লা। রবিবার একটি বৈঠকে ছিলেন। অভিযোগ, হঠাৎ ফেসবুক মেসেঞ্জারে একটি অজানা সোর্স থেকে কল আসে। রিসিভ করতেই, এক মহিলার নগ্ন ছবি ভেসে ওঠে। মোবাইল স্ক্রিনের এক কোণে সিপিএম নেতার মুখে ছবি দেখা যায়। ঠিক যেমনটা ভিডিও কলে হয়। এভাবে প্রতারণার ফাঁদ পাতে সাইবার অপরাধীরা। সিপিএম নেতার থেকে মোটা টাকা দাবি করা হয়। তবে এক্ষেত্রে, ভয় পাননি গোপাল শুক্লা। সোজা পুলিসে অভিযোগ দায়ের করেন।
প্রথমে চন্দননগর থানায় যান। সেখান থেকে চুঁচুড়ায় চন্দননগর পুলিস কমিশনারেটের সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি জানান, পায়েল রেড্ডি নামে একটি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট থেকে কল এসেছিল এবং তাকে ব্ল্যাকমেল করা হয়। তবে তিনি ভয় পাননি। ফেসবুকে ঘটনা জানিয়ে বন্ধুদের সতর্ক করেন এবং সাইবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
জানা গিয়েছে, সাইবার প্রতারণা রোধে চন্দননগর পুলিসের সাইবার ক্রাইম সেলকে থানায় পরিনত করা হয়েছে। ওসি উৎপল সাহার নেতৃত্ব একটি দল অপরাধ দমনের কাজ করছে। সাইবার ক্রাইম থানা থেকে সম্প্রতি একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করা হয়েছে। মোবাইল সিম কার্ড কেনা থেকে স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে, কীভাবে প্রতারণার শিকার হতে হয়, তা ছোটো ছোটো ভিডিওর মাধ্যমে দেখানো হয়েছে।
ব্যাংক প্রতারণা, এটিএম ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড প্রতারণা, মোবাইলে অ্যাপ ডাউনলোড করিয়ে প্রতারণা, পুরষ্কারের লোভ দেখিয়ে প্রতারণা এবং সেক্সটরশনের প্রতারণার শিকার যাতে না হন সাধারন মানুষ, তার নিয়ে সচেতন করা হয়েছে। সকলকে তাঁদের এই ইউটিউব চ্যানেল দেখতে উৎসাহ দিচ্ছেন সাইবার থানার আধিকারীকরা।