থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি বন্ধে হাইকোর্টের কঠোর নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
বিশেষ প্রতিবেদক - আইন আদালত
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ৩১শে ডিসেম্বর ২০২৪ ০৯:৩৯ অপরাহ্ন
থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি বন্ধে হাইকোর্টের কঠোর নির্দেশ

থার্টি ফার্স্ট নাইটে দুর্ঘটনারোধে রাজধানীসহ দেশের সব বাসাবাড়ির ছাদ, উন্মুক্ত স্থান এবং পার্কে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ (আইজিপি) সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এই নির্দেশ দেন।


এর আগে সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ আশরাফ উজ্জামান একটি রিট দায়ের করেন। এতে বাসাবাড়ির ছাদসহ যেকোনো উন্মুক্ত স্থানে আতশবাজি ও পটকা ফোটানোর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন জানানো হয়। জনসমাগম ঠেকাতে রাত ১০টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারির প্রস্তাবও রিটে অন্তর্ভুক্ত ছিল। 


রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়। এই প্রেক্ষিতে আদালত সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়ে বলেছেন, থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনকে কেন্দ্র করে যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা দুর্ঘটনা না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে হবে।


এদিকে, ঢাকায় থার্টি ফার্স্ট নাইটের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে ডিএমপি (ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ) অতিরিক্ত তিন হাজার পুলিশ মোতায়েন করেছে। ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, নগরীতে পুলিশের পাশাপাশি পরিবেশ অধিদপ্তরের ম্যাজিস্ট্রেটরাও দায়িত্ব পালন করবেন। তারা যে কোনো জায়গায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন এবং আইন লঙ্ঘন হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবেন।


নিরাপত্তার এই কঠোর ব্যবস্থার মূল লক্ষ্য হলো রাজধানীতে শান্তিপূর্ণভাবে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন নিশ্চিত করা। তবে হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী আতশবাজি ও পটকা ফোটানোর মতো কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। জনস্বার্থে নেওয়া এই পদক্ষেপকে অনেকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। 


বিশেষজ্ঞদের মতে, আতশবাজি ও পটকার কারণে জনজীবনে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। একদিকে দুর্ঘটনার ঝুঁকি, অন্যদিকে শব্দদূষণ এবং পরিবেশ দূষণের কারণে এই ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধের সিদ্ধান্ত যৌক্তিক। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করছে। 


রাজধানীর বাসিন্দাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, নাগরিকদের সহযোগিতাই এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কেউ যদি আইন ভঙ্গ করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 


সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন এবার কিছুটা নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জনস্বার্থে নেওয়া এই উদ্যোগ দুর্ঘটনা ও বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।