রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাতটা থেকে রাজধানীর চারটি পয়েন্ট থেকে টিকা পাচ্ছেন ঢাকার ভাসমান মানুষ। ঢাকার রাজপথে থাকা ছিন্নমূল মানুষেরা পাচ্ছেন সবচেয়ে ব্যয়বহুল জনসনের টিকা।
প্রাথমিকভাবে ২ লাখ ৮৫ হাজার ডোজ টিকা দেওয়া হবে। অন্য কোম্পানির টিকা যেখানে অন্তত দুই ডোজ দিতে হয়, জনসনের তৈরি করোনাভাইরাসের এই টিকা এক ডোজের। এজন্যই ভাসমান মানুষদের জন্য জনসনের টিকা নির্বাচন করেছে সরকার।
প্রাথমিকভাবে টিকা দেওয়া হচ্ছে রাজধানীর চার পয়েন্ট থেকে। পয়েন্টগুলো হচ্ছে কমলাপুর, মুগদা বাজার, মুগদা ফিস মার্কেট এবং সায়েদাবাদ। এই চার স্পট থেকে আজ কার্যক্রমের প্রথমদিনে টিকা দেয়া হবে এক হাজার ভাসমান মানুষকে। টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খুরশীদ আলম।
সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত এই টিকাদান প্রক্রিয়া চলমান থাকবে। ক্রমান্বয়ে রাজধানীর সব রেল স্টেশন, বাস স্টেশন ও লঞ্চ ঘাটে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। পাশাপাশি যেসব স্থানে ভাসমান মানুষ বেশি থাকেন সেখানে পরিচালিত হবে এই টিকা কার্যক্রম।
উল্লেখ্য, বর্তমানে সরকারের কাছে মজুদ আছে জনসনের ৬ লাখ টিকা।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, যাদের বয়স ১২ থেকে ১৭ বছরের ভেতর তাদের দেয়া হবে ফাইজারের টিকা। ফাইজারের টিকা সংরক্ষণে যেহেতু ফ্রিজিং ব্যবস্থা প্রয়োজন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তাই পর্যাপ্ত ফ্রিজিং-এর ব্যবস্থাও নিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি জনসন অ্যান্ড জনসনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান জেনসেন ফার্মাসিউটিক্যালসের তৈরি জনসনের টিকার বিশ্বজুড়ে ব্যাপক পরীক্ষামূলক প্রয়োগে সন্তোষজনক কার্যকারিতা পাওয়া গিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে কোভিড-১৯ প্রতিরোধে এই টিকার কার্যকারিতার হার ছিল ৭২ শতাংশ।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।