বরিশালে ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। সবশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী গত বৃহস্পতিবার বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ১০০ রোগী। যা চলতি মৌসুম সহ সাম্প্রতিক বছরে চিকিৎসাধীন সর্বোচ্চ ডেঙ্গু রোগীর রেকর্ড। এর আগে, গত বুধবার চিকিৎসাধীন ছিলেন ৯৬ জন রোগী, মঙ্গলবার ৯৯ জন এবং সোমবার চিকিৎসাধীন ছিলেন ৯৭ জন রোগী।
এদিকে গুরুতর ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ‘সেল সেপারেটর’ যন্ত্র না থাকায় অবস্থা একটু খারাপ হলেই রোগীদের ঢাকায় প্রেরণ করেন চিকিৎসকরা। এতে বিপাকে পড়েন অনেকে। তারা এই হাসপাতালেই ডেঙ্গুর যথাযথ চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন। অপরদিকে হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম জানান, প্রয়োজনীয় জনবল ও যন্ত্রপাতি পেলে এই হাসপাতালেই ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা সম্ভব।
শুক্রবার সকালে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু রোগীদের জন্য এই হাসপাতালে নূন্যতম সুবিধা নেই। অপরিস্কার-অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে তেলাপোকা আর মশা-মাছির উৎপাতে অতিষ্ট রোগী ও স্বজনরা। রোগীর পরীক্ষা-নিরীক্ষা, আর বেশিরভাগ ওষুধ কিনতে হয় বাইরে থেকে। ডেঙ্গু চিকিৎসার যন্ত্রপাতি না থাকায় গুরুতর রোগীদের ঢাকায় পাঠিয়ে দেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসাধীন রোগীরা জানান, ডাক্তার-নার্সরা ডেঙ্গু রোগীদের তেমন খবর নেন না। ডাকলেও তাদের পাওয়া যায় না। তারা তদারকি বাড়ালে রোগীরা আরও দ্রুত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পারতেন বলে ধারণা রোগীদের।
শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। রোগীর চাপ প্রতিদিন বাড়ছে। চলতি মৌসুমে ডেঙ্গু রোগীর চাপ আরও বাড়তে পারে আশঙ্কায় আরও ১০০ শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ধারণ ক্ষমতার ১০ গুন রোগী এবং তাদের সাথে অতিরিক্ত ভিজিটরের কারণে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করে রাখা যায় না। কর্তৃপক্ষ পরিচ্ছন্ন করে তারা আবার নোংরা করে। প্রয়োজনীয় জনবল ও যন্ত্রপাতি পেলে এই হাসপাতালেই ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা সম্ভব বলে তিনি জানান।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।