প্রকাশ: ৮ জুলাই ২০২৫, ১৮:১১
দেশজুড়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তিনজন। একই সময়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন নতুন করে আরও ৪২৫ জন। আক্রান্তদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি রোগী বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের বাসিন্দা। এতে করে ওই দুই বিভাগে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে স্বাস্থ্যসংশ্লিষ্ট মহলে।
মঙ্গলবার সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ৬ জুলাই সকাল ৮টা থেকে ৭ জুলাই সকাল ৮টা পর্যন্ত সময়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গুতে। চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত এ রোগে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৮ জনে।
এদিকে একদিনে নতুন করে ভর্তি হওয়া ৪২৫ জন রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১২০ জন এবং চট্টগ্রাম বিভাগে ৯৮ জন রয়েছেন। এছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৩৮ জন, দক্ষিণ সিটিতে ৫৫ জন, ঢাকার বাইরের জেলাগুলোতে ৩৬ জন, রাজশাহীতে ৪৮ জন, খুলনায় ১৮ জন, ময়মনসিংহে ১১ জন ও সিলেট বিভাগে ১ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
ডেঙ্গু পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠলেও আশার কথা হলো, একই সময়ে ৩৭৭ জন রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছর মোট ১১ হাজার ৭৮৬ জন রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
তবে সামগ্রিক হিসাব বলছে, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত সারাদেশে মোট ১৩ হাজার ১৮৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এসব রোগীর একটি বড় অংশ ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা, যা এই রোগের বিস্তৃতি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দিচ্ছে।
সরকারি পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত বছরের তুলনায় এবার বর্ষার শুরুতেই ডেঙ্গু সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে ঘাটতি ও সচেতনতার অভাব এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, এখনই কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া না হলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরো মারাত্মক রূপ নিতে পারে। তাই সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে মশার বিস্তার ঠেকানো জরুরি বলে মত দিয়েছেন তারা।