প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২২, ০:৩১
দিনাজপুরের হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট বিএফ-৭ প্রতিরোধে চেকপোস্টে বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হিলি ইমিগ্রেশন ইনচার্জ ওসি বদিউজ্জামান।
হঠাৎ করে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট বিএফ-৭ প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক বাড়তি সতর্কতা জারির পরে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যাতায়াকারী পাসপোর্ট যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মানা মাস্ক পরা বাধ্যতা করা হয়েছে এবং যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মানা ও মাস্ক পরতে দেখা গেছে।
ইমিগ্রেশন ওসি বদিউজ্জামান জানান, করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট বিএফ-৭ দ্রুত সংক্রামক ভাইরাস। এই ভাইরাস যাতে দেশে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সে জন্য চেকপোস্টে সর্তকতা জারি করা হয়েছে। সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখা, স্বাস্থ্যবিধি মানা ও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। দুই দেশের পাসপোর্টযাত্রীদের স্ক্যানিল থার্মোমিটার দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে। যথেষ্ট সতর্কতার সাথে দুই দেশের যাত্রীদের পারাপার করা হচ্ছে। নতুন এই ভাইরাসের সংক্রমক থেকে বাঁচতে অনেকে সচেতনতার মধ্যে চলাচল করছে।
তিনি আরও জানান, যদি কোন পাসপোর্ট যাত্রীদের শরীরের নতুন করোনা ভ্যারিয়েন্ট এর কিছু লক্ষন বুঝতে পারি সেক্ষেত্রে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হবে। হিলি চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ৬০০ থেকে ৭০০ পাসপোর্টযাত্রী যাতায়াত করছে এবং যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে হাকিমপুর (হিলি) উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শ্যামল কুমার দাস জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে নির্দেশনা পেয়েছি। স্বাস্থ্য বিধি মেনে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে এবং সবাইকে মাস্ক পরিধান করতে বলা হচ্ছে। এছাড়াও হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে একটি মেডিকেল টিম বসানো হয়েছে। করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট বিএফ-৭ ভাইরাস প্রতিরোধে কাজ করছেন তারা। সন্দেহ ভাজন কোন পাসপোর্ট যাত্রী পাওয়া গেলে তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি রাখার জন্য আটটি বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
