রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে দিন দিন ছড়িয়ে পড়ছে চোখ ওঠা রোগ। শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবারই হচ্ছে এ রোগ। এক পরিবারে একজনের হলে পর্যায়ক্রমে অন্যদেরও হচ্ছে। তবে যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি মানছে না কেউ। রোগটি ছোঁয়াছে ফলে প্রতিদিন কেউ না কেউ আক্রান্ত হচ্ছেন।
চিকিৎসকরা বলছেন, গরমে আর বর্ষায় চোখ ওঠার প্রকোপ বাড়ে। রোগটি ছোঁয়াচে। ফলে দ্রুত অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
এ রোগে আক্রান্ত হওয়ায় অনেকে কালো চশমা পরে আবার অনেকে খালি চোখেই ঘোরাফেরা করছেন। এতে ওই রোগের সংক্রমন আরো বেড়ে যেতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। এ কারনে এখনই সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন বলছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা এবং তাদের পরিবারের অনেকে রোগটিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। প্রথম অবস্থায় চোখ চুলকায় এবং পরবর্তীতে চোখ লাল আকার ধারন করে পানি ঝরে।
এছাড়াও বাইরের আলোতে চোখ দিয়ে দেখা যাচ্ছে না। চোখ দিয়ে পেচুটি বের হচ্ছে বলেও তারা জানান। তবে চোখ ওঠার ৪—৫ দিনের মধ্যে ভাল হয়ে যাচ্ছে বলেন তারা। তবে এ রোগে আক্রান্তের ফলে বড় ধরনের কোন সমস্যা না হলেও পূর্ব সতর্ক থাকা প্রয়োজন বলে মনে করছেন তারা।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সৈয়দ আমিরুল হক শামীম বলেন, এটি একটি ছোঁয়াছে রোগ। পরিবারের এক জনের হলে, ওই পরিবারের অন্য সদস্যরা আক্রান্ত হতে পারেন। গরম কালে এ রোগের প্রকোপ বাড়ে বলে তিনি জানান।
কনজাংটিভাইটিস বৈজ্ঞানিক নামের এ রোগটি স্থানীয়ভাবে চোখ ওঠা নামে পরিচিত। অপরিস্কার ও নোংরা জীবন যাপন চোখ ওঠার অন্যতম কারণ। তিনি আরো জানান, এই রোগের ক্ষেত্রে অগ্রিম পদক্ষেপ নেয়ার কিছু নেই। রোগীরা হাসপাতালে আসলে তারা চিকিৎসা প্রদান করছেন। তবে রোগটি যেন অন্যদের মাঝে না ছড়ায়, আক্রান্ত ব্যক্তিকে সেদিকে সচেতন থাকতে হবে বলে তিনি জানান।
এ রোগে সাধারণত কোন রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়না। অবস্থা ভেদে আক্রান্ত রোগীকে তিনি অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ ক্লোরামফেনিকল ব্যবহার ও এন্টিহিস্টামিন সেবনের জন্য এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার কথা বলেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।