https://enews71.com/storage/ads/01JQ1TK8B83CTTQWN3SJNRKSQ9.gif

দক্ষিণাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা, স্বাস্থ্যবিধি মানার তাগিদ

Ziaul Hoque
জিয়াউল হক, নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৬ জুলাই ২০২২, ০:১৯

শেয়ার করুনঃ
দক্ষিণাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা, স্বাস্থ্যবিধি মানার তাগিদ

বরিশাল বিভাগে করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতি ক্রমেই বাড়ছে। গত কয়েকদিন ধরেই বিভাগে সংক্রমণের হার ওঠানামা করছে। বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, সারা দেশের মতো বরিশাল বিভাগেও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে। গত এপ্রিল ও মে মাসে বিভাগের করোনা সংক্রমণ তলানিতে নামলেও জুনের শেষে এসে তা ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু বরিশাল নগরে কোথাও স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। প্রশাসনেরও তদারকি লক্ষ করা যাচ্ছে না। বরিশাল জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (নেজারত) সুব্রত বিশ্বাস দাস জানিয়েছেন দুই একদিনের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের অভিযান শুরু করা হবে।

স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাবে, বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী বুধবার সকাল ৮ টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘন্টায় বরিশাল বিভাগে মোট ৭২ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। যার মধ্যে বরিশাল জেলায়ই প্রায় অর্ধেক। বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকা মিলিয়ে এ জেলায় ৩৫ জন, পিরোজপুর জেলায় ১৪ জন, ঝালকাঠিতে ১০ জন, ভোলায় ৮ জন, বরগুনায় ৩ জন এবং পটুয়াখালীতে ২ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।

https://enews71.com/storage/ads/01JQ1TK8B83CTTQWN3SJNRKSQ9.gif

বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ১ থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত বিভাগে শনাক্তের হার ছিল শূন্য। ১৪ জুন একজনের করোনা শনাক্ত হয়। এরপর তা ক্রমেই বাড়তে থাকে। শুক্রবার তা একলাফে ৫৯ দশমিক ১৭ শতাংশে পৌঁছায়। গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ চূড়ায় ছিল। গত জানুয়ারিতে বিভাগের শনাক্ত মানুষের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৩১৭। ফেব্রুয়ারিতে তা বেড়ে হয় ৩ হাজার ৮৮৪ জন এবং মার্চে করোনা শনাক্ত হয়েছিল ১৪৪ জনের। কিন্তু এপ্রিলে তা কমে হয় মাত্র ৬ জন এবং মে মাসে তা আরও কমে দাঁড়ায় মাত্র ৩ জনে। এ ছাড়া জুনে বিভাগে ১৮৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এই সময়ে কোনো মৃত্যু ছিল না। বিভাগে এযাবৎ করোনায় মারা গেছেন ৬৯০ জন।

বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক শ্যামল কৃষ্ণ ম-ল বলেন, ‘সংক্রমণ পরিস্থিতি ক্রমে অবনতি হচ্ছে। এখন ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি-কাশি দেখা দিচ্ছে। কিন্তু অনেকেই করোনা পরীক্ষা করানোর ব্যাপারে অনাগ্রহ দেখাচ্ছেন। এটা পরিস্থিতিকে জটিল করে দিতে পারে। এ জন্য আমরা স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছি, যাতে কোনো রোগীর মধ্যে এ রকম উপসর্গ থাকলে করোনা পরীক্ষা করানো হয়।’

https://enews71.com/storage/ads/01JQ1TK8B83CTTQWN3SJNRKSQ9.gif

শ্যামল কৃষ্ণ ম-ল বলেন, মাস্ক পরার ব্যাপারে এখন যেভাবে উদাসীনতা দেখা যাচ্ছে, সেটাও আশঙ্কার বিষয়। সামনে পবিত্র কোরবানির ঈদ। এখন গরুর বাজারগুলোয় বিপুলসংখ্যক লোকের সমাগম হচ্ছে। ঈদে অনেক লোক বাসে-লঞ্চে গ্রামে ফিরবে। এ সময় স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করা হলে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যেতে পারে। এ জন্য সবাইকে মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করার ওপর জোর দিতে হবে।

https://enews71.com/storage/ads/01JR36BQSKCPE69WB8Z3TARXE3.jpg

সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা

https://enews71.com/storage/ads/01JR3CX28Y9BM01PRE4TXCNDWF.jpg

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো জিকা ভাইরাস শনাক্ত, সতর্কতার আহ্বান

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো জিকা ভাইরাস শনাক্ত, সতর্কতার আহ্বান

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো জিকা ভাইরাসের ক্লাস্টার শনাক্ত হয়েছে। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) তাদের গবেষণায় পাঁচজনের শরীরে এই ভাইরাস সনাক্ত করেছে। সোমবার (৩ মার্চ) আইসিডিডিআরবি তাদের ফেসবুক পেজ এবং ওয়েবসাইটে এ বিষয়ক তথ্য প্রকাশ করে। আইসিডিডিআরবি জানায়, তারা ২০২৩ সালে সংগৃহীত নমুনাগুলোর পর্যালোচনা করে এ তথ্য পেয়েছে। গবেষণায় ব্যবহৃত সমগ্র জিনোম সিকোয়েন্সিং এবং তুলনামূলক বিশ্লেষণ থেকে গবেষকরা নিশ্চিত হয়েছেন যে,

সরাইল হাসপাতালে অবকাঠামো উন্নয়নে ধীরগতি! বিঘ্নিত চিকিৎসা সেবা

সরাইল হাসপাতালে অবকাঠামো উন্নয়নে ধীরগতি! বিঘ্নিত চিকিৎসা সেবা

সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিল্ডিং নির্মাণ কাজ তিন বছরেও শেষ হয়নি। ২০২২ সালের শুরুতে ৩ তলা বিশিষ্ট বিল্ডিংটি তৈরি হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ অসম্পূর্ণ রেখে পালিয়ে যাওয়ার কারণে এ প্রকল্পটি দীর্ঘ দিন ধরে স্থগিত রয়েছে। এতে সরাইল উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ চিকিৎসা সেবার ক্ষেত্রে মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, হাসপাতালের বর্তমান বিল্ডিংটি অত্যন্ত ছোট এবং সংকীর্ণ

চক্ষু ইনস্টিটিউটে ১০৩ আহত, চিকিৎসা নিয়ে হতাশা

চক্ষু ইনস্টিটিউটে ১০৩ আহত, চিকিৎসা নিয়ে হতাশা

আগারগাঁও জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে এখনো রয়েছেন ১০৩ জন চোখে গুলিবিদ্ধ আহত। তাদের অনেকেরই এক বা দুই চোখে গুলি লেগেছে, কেউ কেউ একাধিক অস্ত্রোপচারের পরও দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাননি। আহতরা অভিযোগ করছেন, তারা আশানুরূপ চিকিৎসা পাচ্ছেন না। স্বজনরা বলছেন, আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা উপদেষ্টাদের প্রথম কাজ হওয়া উচিত ছিল, কিন্তু এখনো শহিদ পরিবারের অনেকে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। আন্দোলনে অংশ

সুস্থ খাদ্যাভাসেই কমতে পারে ক্যান্সারের ঝুঁকি

সুস্থ খাদ্যাভাসেই কমতে পারে ক্যান্সারের ঝুঁকি

দেশে অনুমিত ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ, প্রতি বছর নতুন করে যুক্ত হয় আড়াই থেকে তিন লাখ মানুষ। বেশিরভাগই চিকিৎসার বাইরে থাকেন বা অপচিকিৎসার শিকার হন। মাত্র এক-চতুর্থাংশ রোগী সঠিক চিকিৎসার সুযোগ পান, তবে তাদেরও অনেকে দেরিতে আসেন, যখন সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। ব্যয়বহুল চিকিৎসার কারণে অনেকের পক্ষেই এটি সম্ভব হয় না। এসব পরিস্থিতির মধ্যেই বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য

গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা ও ভাতা আজীবন প্রদানের পরিকল্পনা

গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা ও ভাতা আজীবন প্রদানের পরিকল্পনা

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের আজীবন চিকিৎসাসহ অন্যান্য ভাতা দেওয়ার বিষয়টি সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই আজম। রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। বৈঠকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন