বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নিতে সুইজারল্যান্ডের দাভোসে চার দিনের সরকারি সফরে রওনা হয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট সোমবার রাত ১টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। সফরকালে তিনি বিভিন্ন বৈশ্বিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিউল আলম জানিয়েছেন, অধ্যাপক ইউনূসের এই সফরে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ, ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব, বেলজিয়ামের রাজা ফিলিপ এবং থাই প্রধানমন্ত্রী পায়েংটার্ন শিনাওয়াত্রার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের কন্যা শেখা লতিফা বিনতে মোহাম্মদ, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ড, মেটার গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্সের প্রেসিডেন্ট স্যার নিক ক্লেগ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সেক্রেটারি জেনারেল ড. অ্যাগনেস ক্যালামার্ড এবং ডব্লিউটিওর মহাপরিচালক ড. এনগোজি ওকোনজো-আইওয়ালার সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে।
এই সফরে বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে একটি বিশেষ সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে বৈশ্বিক ব্যবসায়ী নেতারা এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান নির্বাহীরা অংশ নেবেন। এ সংলাপে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হবে।
প্রধান উপদেষ্টার এই সফরকে ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার সুযোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষ করে, জলবায়ু পরিবর্তন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের মতো বিষয়গুলোতে বাংলাদেশের সাফল্যকে বৈশ্বিক মঞ্চে তুলে ধরা হবে।
এ সফরে ড. ইউনূস বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশ এবং বৈশ্বিক সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরে বিভিন্ন কর্মসূচিতে বক্তব্য দেবেন। তার ভাষণে টেকসই উন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন মডেলের ওপর জোর দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের এই সম্মেলন বিশ্ব নেতাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ, যেখানে বৈশ্বিক অর্থনীতি, জলবায়ু সংকট এবং উদ্ভাবনী প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়। ড. ইউনূসের অংশগ্রহণের ফলে বাংলাদেশের অবস্থান আরও সুসংহত হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
প্রধান উপদেষ্টা আগামী ২৫ জানুয়ারি দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন তার দপ্তর। এই সফর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক এবং কূটনৈতিক অগ্রগতির পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।