বরিশালের কুখ্যাত স্বর্ণপ্রতারক মফিজ-কাওসার গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক
এইচ.এম.এ রাতুল, জেলা প্রতিনিধি, বরিশাল।
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ৩রা ডিসেম্বর ২০২৪ ০৭:২২ অপরাহ্ন
বরিশালের কুখ্যাত স্বর্ণপ্রতারক মফিজ-কাওসার গ্রেপ্তার

বরিশালের আলোচিত স্বর্ণপ্রতারক মফিজ সরদার ওরফে সোনা মফিজ এবং তার সহযোগী সোনা কাওসারকে গ্রেপ্তার করেছে কাউনিয়া থানা পুলিশ। ভুক্তভোগীদের দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে মঙ্গলবার সকালে কাউনিয়া থানার ৫০০ মিটার দূরবর্তী টেক্সটাইল রোড এলাকার বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।



মফিজ ও তার সহযোগীরা কথিত স্বর্ণবারের লোভনীয় প্রস্তাব দিয়ে শহরের শতাধিক মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি বিভিন্ন এলাকায় সরল মানুষের সঙ্গে প্রতারণা চালিয়ে আসছিলেন।


গত ৩০ নভেম্বর জানুকিসিং রোডে প্রতারণার সময় মফিজের সহযোগী কালু মৃধাকে গ্রেপ্তার করে স্থানীয় জনতা। তবে তখন মফিজ ও কাওসার পালিয়ে যান। এই ঘটনায় রিপন হাওলাদার নামে এক ব্যক্তি কালু মৃধা, মফিজসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।


সোমবার রাতে উত্তেজিত জনতা মফিজের বাসা ঘেরাও করে এবং পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মফিজ ও তার সহযোগী কাওসারকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর মফিজকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে রাখা হয়েছে। প্রয়োজন হলে রিমান্ডে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ওসি নুরে আলম।



মফিজের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণার অভিযোগ থাকলেও রহস্যজনক কারণে আগের পুলিশ প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। 


ওসি নুরে আলমের নেতৃত্বে বর্তমানে কাউনিয়া থানায় দৃশ্যমান পরিবর্তন এসেছে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে পুলিশের সম্পর্ক উন্নত হয়েছে এবং অপরাধ দমনে কঠোর অবস্থান নেওয়া হচ্ছে। এই উদ্যোগের ফলস্বরূপ স্বর্ণপ্রতারক মফিজ ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। এমনটি মনে করছে কাউনিয়া থানা এলাকার সাধারণ মানুষ।


মামলার বাদী রিপন হাওলাদার জানিয়েছেন, মফিজ ও তার সহযোগীরা বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে সাধারণ মানুষকে স্বর্ণবারের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা করত। মামলার তদন্তে আরও অনেকে জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া যেতে পারে।


এদিকে মফিজের গ্রেপ্তারকে বরিশালের সাধারণ মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস হিসেবে দেখছেন। তার অপকর্মে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ বিচার দাবি করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বর্তমান তৎপরতাকে তারা সাধুবাদ জানিয়েছেন।


ওসি নুরে আলম বলেন, “আমরা অপরাধ ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছি। মফিজ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”