বন্যার্তদের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের জরুরি হটলাইন চালু

নিজস্ব প্রতিবেদক
জিয়াউল হক জুয়েল (স্টাফ রিপোর্টার)
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২২শে আগস্ট ২০২৪ ১০:২২ পূর্বাহ্ন
বন্যার্তদের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের জরুরি হটলাইন চালু

ভারী বর্ষণ ও ভারত থেকে আসা উজানের পানির ঢলে সারাদেশে ভয়াবহ বন্যায় পানিবন্দি মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য হটলাইন নম্বর চালু করেছে ফায়ার সার্ভিস । ফায়ার সার্ভিস এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায়, সারা দেশের বন্যাকবলিত এলাকার উদ্ধারকাজ বিষয়ে যেকোনো সেবা গ্রহণের জন্য ফায়ার সার্ভিসের হটলাইন নম্বর ‘১০২’ তে কল করলে কর্মীরা দ্রুত সেখানে পৌঁছে যাবে।


এছাড়া, কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকক্ষের নিয়মিত ফোন নম্বর ০২২২৩৩৫৫৫৫৫, মনিটরিং সেলে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের নম্বর ০১৭১৩-০৩৮১৮১ এবং জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ এ কল করেও ফায়ার সার্ভিসের সেবা নেয়া যাবে।মনিটরিং সেলের পাশাপাশি বন্যাকবলিত এলাকার ফায়ার স্টেশনগুলো এবং বিভাগীয় নিয়ন্ত্রণকক্ষের মাধ্যমেও ২৪ ঘণ্টা দুর্যোগে উদ্ধারবিষয়ক সেবা নিতে পারবেন সেবাগ্রহীতারা।


এদিকে, সময়ের সাথে ফেনী, নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লাসহ দেশের আটটি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার নোয়াখালীতে ভাসছে গ্রামের পর গ্রাম। পানিবন্দি হাজার হাজার মানুষ। তৃতীয় দফা বন্যায় ফেনীর পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলার দেড় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি পরশুরাম পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৮০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে। ভাঙা বাঁধের ২৪টি অংশ ও কয়েকটি স্থান বাঁধ উপচে লোকালয়ে ঢুকছে পানি।

কুমিল্লার ৩ টি উপজেলার বেশিরভাগ এলাকা প্লাবিত হলেও শতভাগ প্লাবিত হয়েছে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা। এই উপজেলায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় ৪ লাখ মানুষ। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম এলাকা প্লাবিত হওয়ায় সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।


বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮ টায় তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ।জানা গেছে, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার পাশ ঘেঁষে রয়েছে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য। ফলে পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে উপজেলাটি। এছাড়া উপজেলার বুক চিরে বয়ে যাওয়া কাঁকড়ি ও ডাকাতিয়া নদীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।



এদিকে পুরো উপজেলায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। এখনো পর্যন্ত উদ্ধার কাজে এগিয়ে আসেনি সেনাবাহিনী কিংবা উপজেলা প্রশাসন। চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পুরোপুরি প্লাবিত হওয়ায় সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, উপজেলার ৮০ শতাংশ মানুষ আটকা পড়েছে। উপজেলার বেশকিছু স্কুল-কলেজকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করে খুলে দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছি। তবে মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে চাচ্ছে না।