শ্রীমঙ্গলে প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে বৃদ্ধার হয়রানির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
এহসান বিন মুজাহির জেলা প্রতিনিধি , মৌলভীবাজার
প্রকাশিত: শনিবার ৫ই অক্টোবর ২০২৪ ০৫:৫১ অপরাহ্ন
শ্রীমঙ্গলে প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে বৃদ্ধার হয়রানির অভিযোগ

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে প্রভাবশালী ব্যক্তি আরজু মিয়া ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে নিরীহ বৃদ্ধা আজিরুন বেগমের হয়রানির অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৫ অক্টোবর) শহরের ভানুগাছ রোডস্থ টি ভ্যালী পার্টি সেন্টারে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।


ষাটোর্ধ আজিরুন বেগম সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, তার স্বামী আব্দুল মতিন ২০১৮ সালে মৃত্যুবরণ করার পর থেকে তিনি এবং তার পরিবার নানা ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তিনি জানান, তার তিন মেয়ে থাকলেও দুই মেয়ে বিদেশে এবং এক মেয়ে দেশে থাকেন। পরিবারে পুরুষ সদস্য না থাকায় তার প্রতিবেশী আরজু মিয়া ও উপজেলা কৃষকলীগ নেতা বদরুল আলম শিপলুর সহযোগীরা গত দুই বছর ধরে তার পারিবারিক জমি দখল করতে চাচ্ছে।


আজিরুন বেগম বলেন, “আমার তিন মেয়ে চলতি বছরের জানুয়ারিতে জমি ক্রয় করার পর থেকেই তারা আমাকে হয়রানি শুরু করেছে। জমির সীমানা দেয়াল নির্মাণ করতে গিয়ে বদরুল আলম শিপলু আমাকে দুই লক্ষ টাকা দাবি করে এবং ৫০ হাজার টাকা দিয়ে আমি দেয়াল নির্মাণে বাধ্য হই।” 


তিনি আরও বলেন, “গত ১৯ জুন বিকেলে একদল লোক আমার দেয়াল ভাঙার চেষ্টা করে। তারা সরকারি জমির কথা বলে আমাদের হয়রানি করে। এতে আমি এবং আমার মেয়ে গুরুতর আঘাত পাই।”


এদিকে, শ্রীমঙ্গল উপজেলার ইউএনও মো. আবু তালেব বিষয়টি সম্পর্কে জানান, আজিরুন বেগমের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে যে তিনি সরকারি রাস্তা দখল করে দেয়াল নির্মাণ করেছেন। তিনি বলেন, “আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে পানির প্রবাহ বিঘ্নিত করার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে দখলকৃত অংশ পরিষ্কার করে দিয়েছি।”


আজিরুন বেগম তার বিরুদ্ধে চলমান হয়রানি বন্ধের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তিনি বলেছেন, “আমি একজন অসহায় মহিলা, আমার ওপর যে অত্যাচার চলছে তা থামাতে হবে।”


প্রভাবশালী ব্যক্তিরা স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগের ব্যাপারে সাড়া না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। এদিকে, অভিযুক্ত আরজু মিয়া ও বদরুল আলম শিপলুর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তারা কোনো সাড়া দেননি।


এই ঘটনায় শ্রীমঙ্গলের রাজনৈতিক পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এবং স্থানীয়রা এ বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। আগামী দিনে প্রশাসনিক পদক্ষেপের ওপর নির্ভর করছে আজিরুন বেগমের পরিবার এবং স্থানীয় জনগণের শান্তি।