৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ উপলক্ষে ইবি প্রশাসনের শ্রদ্ধাঞ্জলি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শনিবার ৭ই মার্চ ২০২০ ০৬:৩৩ অপরাহ্ন
৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ উপলক্ষে ইবি প্রশাসনের শ্রদ্ধাঞ্জলি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ ৭ মার্চ-২০২০ উপলক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি, র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন থেকে র‍্যালিটি শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ ম্যুরালের পাদদেশে এসে শেষ হয়।র‍্যালি শেষে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন। পরে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ও শাপলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোঃ মাহবুবর রহমানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হারুন উর রশিদ আসকারী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ শাহিনুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ সেলিম তোহা। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম আব্দুল লতিফ, প্রক্টর অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মন, ছাত্র-উপদেষ্টা  অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান, পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. রেজওয়ানুল ইসলাম, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী আখতার হোসেনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী বৃন্দ।

আলোচনা সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হারুন উর রশিদ আসকারী বলেন, "ম্যাগনাকার্টা যেমন ব্রিটিশ জাতিকে দিক-নির্দেশনা দিয়েছিল, সেরকম এ ভাষণ বাঙালি জাতিকে সার্বিক দিক-নির্দেশনা দিয়েছিল। কেবল স্বাধীনতা যুদ্ধ হবে তাই নয়, সাড়ে সাত কোটি বাঙালির সারা পৃথিবীর ইতিহাসের গতিধারা পরিবর্তন, বাঙালি জাতির জন্য একটি আলাদা স্বতন্ত্র রাষ্ট্র, আত্মপ্রতিষ্ঠা লাভ, সমবেতভাবে সংগ্রাম করা, বিজয় অর্জন করা এবং কিভাবে পরবর্তীকালে উন্নত ও উন্নয়নশীল বাংলাদেশের বিনির্মাণ করা যাবে এসবের রূপরেখা ১৯ মিনিটের ১১০৭টি শব্দ সম্মিলিত এ মহান ভাষণে সবকিছু লুকায়িত ছিল।

এ সময় তিনি আরও বলেন, এ ভাষণের মর্মার্থ এটি হৃদয়ে, মনে মননে ধারণ করলে বাঙালি জাতি কখনই পথভ্রষ্ট হবে না এবং দুঃখ-দুর্দশায় নিমজ্জিত হবে না। স্বাধীন এবং সার্বভৌম বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জীবনের সকল দিক এবং বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পেছনে তার নানা মাত্রিক গুরুত্ব আমরা বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে স্থায়ী এবং টেকসই ভাবে তুলে ধরতে চাই। সাড়ে সাত কোটি মানুষের ২৩ বছরের গোঁড়ামির শাসনের বিরুদ্ধে যে উপলব্ধিতে পৌঁছেছিল সেটি একজনের মুখ থেকে বেরিয়ে এসেছিল সেদিন রেসকোর্স ময়দানে ৭ মার্চ, ১৯৭১ সালে।"

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব