কালের বির্বতনে হারিয়ে যাচ্ছে,সেই গ্রাম্য পাঠশালা। হারিয়ে যাচ্ছে সেই তালপাতা,দধকালী,সিলাট আর বাশের কনচির তৈরীর সেই কলম। সময়ের ব্যবধানে অনেক কিছু পরিবর্তন হলেও হারিয়ে যায়নি খোলা আকাশের নিচে পাটের চট,কাঠের তৈরীর ফ্রিতে বসে পড়া।
মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়ন শশিকরে বাড়ির আঙ্গিনায় খোলা আকাশের নিচে,পাটের চট বিছিয়েও কাঠের তৈরী ফ্রিতে বসে গ্রাম্য পাঠশালার ছোট শিশুদের পড়াচ্ছেন শশিকর গ্রামের সুমিতা বাড়ৈ।
পাঠশালা চলে সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত।
সরেজমিনে দেখা যায়, মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের শশিকর গ্রামের সুভাস বাড়ৈর স্ত্রী সুমিতা বাড়ৈ দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত এভাবে অত্র এলাকার ছোট ছোট প্রায় অর্ধশতাধিক শিশুদের লেখা পড়া শিখাচ্ছেন। আর এসমস্ত শিশুদের পড়ার ধর্নি শোনা যাচ্ছে প্রায় এক কিলোমিটার দূরহতে।
বিনিময়ে প্রতি শিশুর পরিবার মাসে দিচ্ছেন এক কেজী চাউল ও দুই শত টাকা।
অসিম.নিখিল চন্দ্র ও রিনা বিশ্বাস সহ একাধীক অভিবাবক “নবচেতনা“ প্রতিবেদককে বলেন, আমাদে শিশুদের আমরা এভাবেই পড়ালেখা শিখাচ্ছি। কারন ওরা এখনও ছোট,প্রাইমারী স্কুলে ভর্তি হওয়ার সময় হয়নি। তাই ওরা এখানে বসেই অনেক কিছু শিখতে পারে। আবার আমাদের অনেক ছেলে-মেয়ে আছে,স্কুল ছুটির পড়ে এই পাঠশালায় এসে পড়ে।
এখানে সুমিতা বাড়ৈকে বেশী কিছু দেওয়া লাগে না। নিজের সন্তানের মত করেই পড়াচ্ছে।
সুমিতা বাড়ৈ বলেন, অনেক শিশুরা আছে এখনও স্কুলে যাওয়ার সময় হয়নি, ওদের এখানে বসে লেখাপড়া শিখাচ্ছি। আবার কিছু শিশু আছে স্কুল ছুটির পড়ে, ওরা আমার এখানে পড়তে আসে।
আমি ওদের পড়িয়ে আনন্দ পাই। ওরা সবাই আমার সন্তান।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।