সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী ইসমাইল হোসেন ইমনের গায়েবী জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। গায়েবী জানাজায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. সাদেকুল আরেফিন, প্রক্টর প্রফেসর ড. খোরশেদ আলম, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. আব্দুল কাইউম, বন্দর থানার ওসি মোঃ আসাদুজ্জামানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
অপরদিকে গত ৮ নভেম্বর সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে দশটা পর্যন্ত সহপাঠির মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে ঘাতক পরিবহনের চালকসহ সংশ্লিষ্টদের বিচারের দাবিতে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষুব্ধরা পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে বলেন, সাকুরা বাস কর্তৃপক্ষকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, চিকিৎসার গাফিলতির কারণ তদন্ত করে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনতে হবে, সাকুরা বাসের রুট পারমিট সাময়িকভাবে বাতিল করতে হবে, প্রত্যেক বাসকে জিপিএস ট্রাকিংয়ের আওতায় এনে অতিরিক্ত গতির জন্য স্বয়ংক্রিয় জরিমানার ব্যবস্থা করতে হবে এবং স্পিড লক ব্যবস্থা কার্যকর করতে হবে।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, গত ৬ নভেম্বর ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সাকুরা পরিবহনের বেপরোয়া একটি বাস গাছের সাথে ধাক্কা লাগে। এতে ওই বাসের যাত্রী বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের পঞ্চম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইসমাইল হোসেন ইমন নিহত হন। শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, পটুয়াখালী-বরিশাল-ঢাকা রুটে চলাচলকারী সাকুরা পরিবহনের বাস বেপরোয়াগতির কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হয়। কিন্তু রহস্যজনক কারণে বেপরোয়াগতির বিরুদ্ধে আইনগত কোনো ব্যবস্থা না নেয়ার প্রতিবারই পার পেয়ে যায় পরিবহন কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীরা ঘাতক চালকসহ পরিবহনের সংশ্লিষ্ট যাদের গাফিলতি রয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।