সরাইলে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৪র্থশ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
মো: তাসলিম উদ্দিন, উপজেলা প্রতিনিধি সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
প্রকাশিত: শনিবার ১৭ই সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৪:৩৭ অপরাহ্ন
সরাইলে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৪র্থশ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

সরাইল বুড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়তে গেলে ৪র্থশ্রেণির ছাত্রী (১২) বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষে জোর পূর্বক ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠে। ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে স্কুলের  শিক্ষকের বিরুদ্ধে। 


গত বৃহস্পতিবার (১৫সেপ্টেম্বর) ওই ছাত্রীর মামা মো. রহিম আলী বাদী হয়ে সরাইল থানায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় সরাইল থানায় মামলা হয়েছে। সরাইল থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে।


 বুড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত)প্রধান শিক্ষকের নাম মুহিত মিয়া (৪৫)। তিনি উপজেলার নোয়াগাঁও  ইউনিয়নের বুড্ডা গ্রামের রিয়ান উদ্দিনের ছেলে।বিষয়টি  নিশ্চিত করেছেন সরাইল থানার ওসি মো. আসলাম হোসেন। 


বাদী ওই স্কুলছাত্রীর মামা, মামলার এজাহার ও স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়,  ছাত্রী বাবা-মা প্রবাসে থাকেন। প্রতিদিনের ন্যায় গত বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে ছাত্রীর বিদ্যালয়ে যায়। ঐ দিন ছিল প্রচুর বৃষ্টি। বিকাল সাড়ে ৩টায় বিদ্যালয় ছুটি হয়। কিন্তু শিক্ষক মুহিত মিয়া কৌশলে ছাত্রীকে বিদ্যালয়ে ঝারু দেওয়ার কথা বলে বাকি সবাইকে বাড়ি যেতে বলে। ছাত্রীও স্যারের কথামত সরল বিশ্বাসে বিদ্যালয়ে ঝারু দেওয়ার কাজ শুরু করে।


এদিকে বাহিরে বৃষ্টির তীব্রতা আরো বেড়ে যায়। তখন শিক্ষক মুহিত মিয়া দরজা বন্ধ করে ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। পরে নিপা বাড়ি গিয়ে কেঁদে কেঁদে তার নানূর কাছে ঘটনার সবকিছু বললে নিপার মামা রহিম মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ছাত্রীকে নিয়ে যায়। বর্তমানে ছাত্রী জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও ওই শিক্ষকের  ব্যবহৃত মোবাইল ফোনেও গণমাধ্যমকর্মীরা কোনো বক্তব্য নিতে পারেনি। 


এলাকার মানুষ জানিয়েছেন এই ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পর গা ঢাকা দিয়েছে ঐ শিক্ষক। 


সরাইল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা  আব্দুল আজিজ বলেন, সরকারি বিধি অনুযায়ী দ্রুত তার ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা হয়েছে। রবিবারে আমরা স্কুল ভিজিট করবো। 


এ বিষয়ে সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)মো.আসলাম  হোসেন এ প্রতিনিধিকে বলেন, মেয়ের মামা বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। আমরা আসামি কে ধরার জন্য দ্রুত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ওসি বলেন, দ্রুত সময়ে আসামী কে ধরতে সক্ষম হবো ইনশাআল্লাহ।